কাজ বাড়ছে, তাই নতুন দফতর

শনিবার কোচবিহার সাগরদিঘি পাড়ের আমতলায় ওই কাজের সূচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ কাঠা জমির ওপর চার তলা ওই ভবন তৈরিতে খরচ হবে প্রায় সওয়া তিন কোটি টাকা। ভবনের প্রথম দুই তলায় দফতরের প্রশাসনিক কাজকর্ম করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৭ ১০:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

দফতরের বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। বেড়েছে কাজের পরিধি। তার জেরে উত্তরবঙ্গে অফিসের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। ওই ভাবনার কথা মাথায় রেখেই নতুন অফিস ভবন তৈরির কাজের সূচনা হল কোচবিহারে।

Advertisement

শনিবার কোচবিহার সাগরদিঘি পাড়ের আমতলায় ওই কাজের সূচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ কাঠা জমির ওপর চার তলা ওই ভবন তৈরিতে খরচ হবে প্রায় সওয়া তিন কোটি টাকা। ভবনের প্রথম দুই তলায় দফতরের প্রশাসনিক কাজকর্ম করা হবে। এ ছাড়াও চারটি ঘর রাখা হচ্ছে। কাজের প্রয়োজনে বাইরে আসা আধিকারিকরা সেখানে রাত্রিবাসের সুযোগ পাবেন। এতে ওই আধিকারিকদের হোটেলে থাকবার সমস্যাও মিটবে। ভবনের বাকি দোতলায় ভাড়া বাড়িতে থাকা বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতর চালুর পরিকল্পনা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “দফতরের ওই অফিস ভবন থেকে কোচবিহার ছাড়াও আলিপুরদুয়ার জেলার কাজকর্ম পরিচালনা করা হবে।” পরবর্তী ধাপে উত্তরবঙ্গে এ ভাবেই আরও একাধিক জেলার কাজকর্ম পরিচালনার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের ভবন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব বরুণ রায়ও ওই প্রসঙ্গেই উত্তরবঙ্গের আট জেলায় কাজের সুবিধের জন্য অফিসের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কাজ যেভাবে বাড়ছে তাতে বিভিন্ন জায়গায় অফিস না থাকলে সেসব দেখাশোনা, পরিদর্শন করা অসুবিধে হবে।”

দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে উত্তরের সবকটি জেলার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে ৫৭৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। গতবারের তুলনায় ১৬২ কোটি টাকা বেশি। গত বছর বাজেট বরাদ্দ ছিল ৪১৩ কোটি টাকা।

দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, মূলত উত্তরকন্যা থেকেই দফতরের কাজকর্ম পরিচালনা হয়। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন থেকে নজরদারিতে শিলিগুড়ি থেকে আধিকারিকদের অনেককেই এ জন্য যাতায়াত করতে হয়। নতুন অফিসের সংখ্যা বাড়লে সমস্যাও অনেকটাই কমবে।

কোচবিহারে ওই অফিসের কাজের সূচনা করে তিনি যান কোচবিহারের হরিণচওড়া এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। সেখানে নতুন হস্টেলের উদ্বোধন করেন। আরও একটি হস্টেলের কাজের সূচনাও এ দিন করা হয়।

পরে দেওয়ানহাট কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী। তল্লিগুড়িতে মরা নাওতারায় সেতু, বাণেশ্বর কলেজে নয়া ভবনের কাজের সূচনা করেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-সহ একাধিক অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। পার্থবাবু বলেন, “প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই উপকৃত হবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন