দু’বছর পরে পুজোর খুশি

ওই চটকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার চটকলের ওয়ার্কশপ ঘরে বিশ্বকর্মা পুজো করা হচ্ছে। এজন্য উৎসাহী শ্রমিকেরা রঙ করে ঘরটি সাজিয়েছেন। কারখানা চত্বর বিদ্যুতের আলোক মালায় সাজানর প্রস্তুতিও অনেকটা এগিয়েছে।

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৫৬
Share:

চলছে পুজোয় রান্নার প্রস্তুতি। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

কেউ ব্যস্ত রঙ-তুলি নিয়ে। কেউ আবার খিচুড়ির চাল, ডালের হিসেব নিকেষ করতে। দুই বছরের ব্যবধানে ফের বিশ্বকর্মা পুজোর চেনা ছন্দে ফিরলেন প্রণব তালুকদার, সাধন দাসের মত কর্মীরা। সবমিলিয়ে খুশির হাওয়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে চালু হওয়া কোচবিহারে চকচকা শিল্পতালুকের চটকলে। আজ রবিবার দিনভর ফের সেখানে বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দে মাতবেন সেখানকার চার শতাধিক শ্রমিক, কর্মী। ওই চটকলের জেনারেল ম্যানেজার কিঙ্কর পাল বলেন, “ আমাদের চটকলে ফের বিশ্বকর্মা পুজো হচ্ছে। শারদ উৎসবের মুখে দুই বছর পর ওই পুজো ঘিরে শ্রমিক, কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে দারুণ লাগছে।”

Advertisement

ওই চটকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার চটকলের ওয়ার্কশপ ঘরে বিশ্বকর্মা পুজো করা হচ্ছে। এজন্য উৎসাহী শ্রমিকেরা রঙ করে ঘরটি সাজিয়েছেন। কারখানা চত্বর বিদ্যুতের আলোক মালায় সাজানর প্রস্তুতিও অনেকটা এগিয়েছে। সকাল থেকে দিনভর ঢাক বাজানর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য খিচুড়ির ব্যবস্থাও থাকছে। পুজো দেখতে আসা শ্রমিক পরিবারের সদস্য, স্থানীয়দেরও প্রসাদ দেওয়া হবে। সবমিলিয়েই প্রায় ১০০ কেজি চাল, ৩০ কেজি ডালের খিচুড়ি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রকমারি আনাজের তরকারি, চাটনিও রাখা হচ্ছে মেনুতে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রসাদ নিতে পারবেন শ্রমিকরা। পুরো কাজের তদারকির জন্য শ্রমিকদের দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। ওই চটকলের তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা দেওয়ান যাদব বলেন, “আমরা তো এমনই চেয়েছিলাম।” আইএনটিটিউসির কোচবিহার জেলা সভাপতি প্রাণেশ ধর বলেন, “ওই চটকলে পুজোর আনন্দ আলাদা।”

ওই চটকলের শ্রমিক, কর্মীদের কয়েকজন জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বরে শ্রমিকদের একাংশের বিরুদ্ধে গরহাজিরার অভিযোগ তুলে সাসপেনশন অব ওয়াকার্স বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে মিলটি বন্ধ করে দেয় মালিকাপক্ষ। ফলে ২০১৫, ২০১৬ সালে বিশ্বকর্মা পুজো হয়নি। বন্ধ গেট দেখেই ফিরতে হয় বিষণ্ণ শ্রমিকদের। আড়াই বছরের মাথায় এবছর মার্চে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেটির দরজা খুলেছে। চটকলের কর্মী প্রণব তালুকদার বলেন, “গত দুই বছর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সবথেকে বেশি খারাপ লেগেছে। এ বারে নিজে ওয়ার্কশপ চত্বর রঙ করে সাজিয়েছি। আনন্দের এমন সুযোগ এতটুকুও নষ্ট করতে চাই না।” এক শ্রমিক সাধন দাস বলেন, “চটকলটি বন্ধের পর ফের খুলেছে। পুজো চালু হল। এবার আমিও খুব খুশি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন