নির্দেশ অমান্য করে তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের অভিযোগ নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের রেশ গড়াল তৃণমূল ভবনে। সোমবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে ওই ব্যাপারে বৈঠক হয়। সেখানে ওই পুরসভার দলের কাউন্সিলরদের ব্যাখা জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। দল সূত্রের খবর, বৈঠকে তুফানগঞ্জ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরা ছাড়াও কোচবিহার জেলা ও তুফানগঞ্জের স্থানীয় নেতৃত্ব ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরের কাছে কোন পরিস্থিতিতে রাজ্য নেতৃত্বের পাঠান নির্দেশ অমান্য করে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়েছে তা নিয়ে সকলের বক্তব্য জানতে চান। রাজ্য নেতৃত্বের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রিম্পা সেন ব্যাপারী ওই দিনের গোলমালের ঘটনার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান। প্রায় দু’ঘণ্টা ওই বৈঠক চলে। সেখানে পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত সবাই মেনে চলার কথাও সবাই জানিয়ে দেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “রাজ্য নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ অবশ্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে পুরো বিষয়টি জানানো হবে। তিনি যা সিদ্ধান্ত সেটা সবাই মেনে চলবে।”
১৮ মে তুফানগঞ্জে পুর চেয়ারম্যান নির্বাচনের বৈঠকের পর রিম্পাদেবী রাজ্য নেতৃত্বের পাঠান বন্ধ খামে তাঁর নাম চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করে পাঠান হলেও তা অমান্য করার অভিযোগ তোলেন। জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অনন্ত বর্মা ওই পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই ঘটনা ঘিরে দলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ে। তুফানগঞ্জ শহর তৃণমূল সভাপতি হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ও পুর চেয়ারম্যান অনন্ত বর্মা কেউই অবশ্য কিছু বলতে চাননি। রিম্পাদেবীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।