Coochbehar

বৃষ্টি চলছে, চলবেও

কোচবিহার জেলায় ১৩ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ১৪-১৫ জুলাই অল্প থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

অরিন্দম সাহা 

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০৪:৪৮
Share:

তোর্সা ফুঁসছে। নিজস্ব চিত্র

শনিবার তুমুল বৃষ্টিপাত হয়েছে কোচবিহার-সহ নানা এলাকায়। আরও চার দিন উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তার মধ্যে এ দিন বিকেলে কোচবিহারে তোর্সা নদীতে হলুদ সঙ্কেত জারি হয়। মাথাভাঙায় মানসাই নদীতেও হলুদ সঙ্কেত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বর্ষার মরসুমে জেলার নদীগুলি আরও ফুঁসে উঠতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এতে নদী চর ও লাগোয়া এলাকায় জল ঢুকে বন্যার আশঙ্কাও বেড়েছে। উদ্বেগ বেড়েছে চাষাবাদ থেকে প্রাণী সম্পদ প্রতিপালন নিয়েও। বেশ কিছু ক্ষেত্রে চাষিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা কেন্দ্র সূত্রের খবর, ১৫ জুলাই বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের চার জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সতর্কতামূলক কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত চাষিদের, তা নিয়ে এর মধ্যেই বিশেষ বুলেটিনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অতি ভারী বৃষ্টি হলে সতর্ক হওয়া দরকার। কোচবিহার জেলায় ১৩ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ১৪-১৫ জুলাই অল্প থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় ১৫ জুলাই পর্যন্ত অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা। উত্তর দিনাজপুরে ১২ জুলাই পর্যন্ত অল্প ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে, ১৩-১৫ জুলাই মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আলিপুরদুয়ারে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ১৪-১৫ জুলাই অল্প ভারী থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির একটি, দু’টি স্থানে রবিবার বজ্রপাতের আশঙ্কাও আছে। বন্যার সম্ভবনাও বলা হয়েছে বুলেটিনে।

উত্তরবঙ্গ গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা কেন্দ্রের মুখ্য নোডাল আধিকারিক শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস মিলছে। তাই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক জমিতেই গ্রীষ্মকালীন ফলন রয়েছে। তাড়াতাড়ি ওই ফসল কেটে ঘরে তোলা, জমির নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি রাখতেও বলা হয়েছে। জলে ডুবে থাকার জন্য আমন ধানের বীজতলা নষ্ট হলে দ্রুত নতুন বীজতলা করতে হবে। প্রাণীপালন ও মাছ চাষের ক্ষেত্রেও সতর্কতা নিতে হবে। মুরগি, হাঁসের মতো প্রাণীদের স্যাঁতস্যাঁতে খাবার দেওয়া উচিত নয়। গরু, ছাগলের মতো প্রাণীদের বৃষ্টিভেজা এড়ান উচিত। চাষিদের কয়েক জনের কথায়, ওই সতর্কতায় ক্ষতি এড়ান এবং কমানোও যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন