BDO

দূর থেকে খোঁজ সদ্যোজাতের

সাত সকালে এক কাপ চা খেয়েই বেরিয়ে পড়ছেন আবাসন থেকে। করোনা মোকাবিলায় ঘুরছেন এ দিকে, ও দিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাকুলিয়া শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৫:৫৭
Share:

কাজে: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের উৎসাহ দিতে বস্ত্রদানের মাধ্যমে সম্মান জানাচ্ছেন বিডিও। নিজস্ব চিত্র

দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে নিজের ২০ দিনের মেয়েকে স্পর্শ করতে পারেননি। পাশের ঘরের দরজায় উঁকি দিয়ে সদ্যোজাত মেয়ের খোঁজ নিচ্ছেন। তিনি উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ২ ব্লকের বিডিও কানাইয়াকুমার রায়। করোনা আবহে সুরক্ষার কথা ভেবেই মেয়েকে কোলে তোলেননি তিনি।

Advertisement

দু’মাস আগে শৌচাগারে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়ে মারা যান তাঁর বাবা। তার পরেই আনন্দের খবর আসে। মেয়ের বাবা হন। কিন্তু তাকে কোলে না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই গিয়েছে।

সাত সকালে এক কাপ চা খেয়েই বেরিয়ে পড়ছেন আবাসন থেকে। করোনা মোকাবিলায় ঘুরছেন এ দিকে, ও দিকে। ফের অফিসে ফিরে কাজ। সন্ধ্যার পরে ঘরে ফেরা।

Advertisement

অসুস্থ মা ওষুধ ঠিক মতো খাচ্ছেন কিনা। মেয়েকে নিয়ে কেমন দিন কাটছে স্ত্রীর, সবই দূর থেকে খোঁজ নেওয়া। বিডিও বলেন, ‘‘পরিস্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়েছি ঠিকই। কিন্তু স্ত্রী ও মেয়ের কাছে এই সময়টা থাকা খুব জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাই মেয়েকে কোলে নিতে পারছি না। তেমনই মায়ের সঙ্গে কাছে বসে গল্পও করতে যাচ্ছি না। দূর থেকেই ওদের খবর নিচ্ছি।’’

স্ত্রী সত্য রায় গৃহবধূ। করোনা-যুদ্ধে স্বামীর কাজে খুশি। মা রামাবতীদেবীর কথায়, ‘‘ছেলের জন্য দিনভর উদ্বেগে কাটে। রাতে যখন মা বলে ডেকে খোঁজ নেয় তখন স্বস্তি ফেরে।’’ কানাইয়া বলেন, ‘‘ভোরে রোজ নতুন সূর্যকে বলি, এ বার সব শান্ত হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন