বন্‌ধে ব্যাহত ৩ জেলার জীবন

পেট্রোপণ্যের মূলবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস, বামেদের ডাকা বন্‌ধের জেরে অনেকটাই বিপর্যস্ত হল উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জনজীবন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৯
Share:

মিছিল: বন্‌ধ প্রচার। নিজস্ব চিত্র

পেট্রোপণ্যের মূলবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস, বামেদের ডাকা বন্‌ধের জেরে অনেকটাই বিপর্যস্ত হল উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জনজীবন।

Advertisement

কোচবিহার জেলা শহরে এ দিন সকাল থেকে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। বেসরকারি যান চলাচলও বন্ধ। অবশ্য সরকারি বাস চলেছে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। সকালের দিকে বন্‌ধ সমর্থনকারীরা শহরে একাধিক মিছিল বের করে। কোথাও অবশ্য জোর করে বন্‌ধের চেষ্টা হয়নি। বন্‌ধের বিরোধিতায় রাস্তায় নামে তৃণমূল। তাদের শ্রমিক সংগঠন ও যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিছিল হয়। মহকুমা শহর দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জের চিত্র প্রায় একই ছিল। তুফানগঞ্জে অবশ্য বন্‌ধের তেমন প্রভাব পড়েনি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “কোথাও গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটেনি।”

যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ দিন বন্‌ধ বিরোধী মিছিল করার সময় কোচবিহার শহরের স্টেশন মোড় এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফেস্টুন খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যুব তৃণমূল নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “আমরা জনজীবন স্বাভাবিক রাখার পক্ষে। কিন্তু পেট্রোপণ্যের মূল্য যে ভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই পেট্রোল পাম্পে নরেন্দ্র মোদীর হাসি মুখে পোস্টার থাকার কোনও মানে হয় না। সে জন্য তা খুলে দেওয়া হয়েছে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “এমন আন্দোলন কেন মানুষ সব বুঝতে পাচ্ছে। ওই ঘটনায় মামলা করা হবে।”

Advertisement

আলিপুরদুয়ারে বন্‌ধের জেরে সোমবার অনেক দোকানপাট বন্ধ ছিল৷ রাস্তায় সরকারি বাস চললেও, বেসরকারি বাস খুব বেশি দেখা যায়নি৷ তবে সরকারি দফতর ও স্কুল-কলেজ খোলা ছিল৷ যদিও বেসরকারি অনেক স্কুলই বন্ধ ছিল৷ সরকারি অনেক স্কুলে উপস্থিতির হার অনেকটা কম ছিল৷ তবে আলিপুরদুয়ারের চা বাগানগুলিতে বন্‌ধের প্রভাব পড়েনি৷ চা বাগান মালিকদের সংগঠন ডুয়ার্স ব্র্যাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি সেক্রেটারি রানা দে বলেন, ‘‘জেলায় আমাদের সংগঠনের সব বাগানই খোলা৷ তবে বৃষ্টির জন্য কিছু বাগানে উপস্থিতি কম ছিল৷’’

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণাল রায় বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগেই চা বাগানে তিন দিনের ধর্মঘট হয়েছে৷ তাই এ বার বন্‌ধের সমর্থনে আমরা বাগানে আর প্রচারও করিনি৷’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মার দাবি, ‘‘আলিপুরদুয়ার জেলায় এ দিনের বন্‌ধ ব্যর্থ হয়েছে৷ তবে বৃষ্টির জন্য কেউ কেউ দোকান খোলেননি৷’’

জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের সব চা বাগানে এ দিন স্বাভাবিক কাজ হয়েছে। তবে প্রবল বর্ষার কারণে ডুয়ার্সের পথে বন্‌ধ সমর্থকদের চোখে পরে নি। উল্টো দিকে বেসরকারি বাস কম ছিল। সকালে যারা দোকান খুলেছিলেন খারাপ আবহাওয়ার দেখে তাঁরাও ঝাঁপ ফেলে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন