বাসের চাহিদা বাড়তেই কালোবাজারির নালিশ

শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে মাল্লাগুড়ির বেসরকারি বাসস্ট্যান্ডগুলির যাত্রীদের ভিড় বাড়ে। অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় টিকিটের কালোবাজারিও।

Advertisement

নীতেশ বর্মণ

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৫০
Share:

হয়রানি: শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে। ছবি: স্বরূপ সরকার

দক্ষিণের সঙ্গে রেল পরিষেবা বন্ধের ফলে দূর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের। শনিবার পর্যন্ত এনজেপি থেকে কিছু ট্রেন ছিল। রবিবার বিকেলের পর সমস্ত ট্রেন বন্ধের নির্দেশ দেয় রেল। এতে যাত্রীদের ভিড় গিয়ে উপচে পড়ে শহরের দুরপাল্লার বাসস্ট্যান্ডগুলিতে। তবে হাতে গোনা বাস আর টিকিটের চাহিদা বাড়ে হু হু করে। তাই সন্ধ্যা গড়াতেই শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে মাল্লাগুড়ির বেসরকারি বাসস্ট্যান্ডগুলির যাত্রীদের ভিড় বাড়ে। অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় টিকিটের কালোবাজারিও। ৪০০ টাকার টিকিট ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

এনবিএসটিসির শিলিগুড়ি ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপঙ্ক দত্ত বলেন, ‘‘রেল পরিষেবা বন্ধের ফলে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। ফলে হঠাৎ করে নতুন কোনও বাসের ব্যবস্থা করা যায়নি। যাত্রীদের পরিষেবায় কলকাতা রুটে আরও বাস চালানো যায় কি না, তা পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘যাত্রী পরিষেবার দিকটি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।’’

উত্তরঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাতানুকূল এবং একটি রকেট বাস সহ একটি ভলভো বাস কলকাতা রুটে যায়। সেই বাসগুলি সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে স্ট্যান্ড থেকে রওনা দেয়। সেই বাসগুলির সিট আগেই বুক করেছেন যাত্রীরা। ফলে বেশিরভাগ যাত্রীকে বেসরকারি বাসের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। কলকাতাগামী বাসগুলির টিকিট দ্রুত শেষ হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার সাধারণ সিটের ভাড়া ৪৮৬ টাকা। কিন্তু এ দিন অনেকের কাছে ৬০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। বাতানুকূল বাসের ভাড়া ৮০০-৯০০ টাকা হলেও এ দিন এক হাজার থেকে এগারোশো টাকা নেওয়া হয়েছে বলে বেসরকারি সংস্থাগুলির সূত্র থেকে জানা গিয়েছে।

Advertisement

যাত্রী দেবাশিস মণ্ডল তাঁর তিন বছরের মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে হন্যে হয়ে বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরেছেন। কিন্তু রাতের যাওয়ার বাস পাননি। পরে তিনি জানান, রাতের বাস পেলে আগেই যেতে পারতেন। প্রয়োজনীয় কিছু কাজ হত। কিন্তু বাস না পেয়ে স্ট্যান্ডেই থাকতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘‘রেল পরিষেবা বন্ধের পরে সাধারণ মানুষের হয়রানি হচ্ছে। দয়া করে একবার পরিস্থিতির কথা ভাবা উচিত প্রশাসনের।’’ আর এক যাত্রী কৌশিক মণ্ডল বলেন, ‘‘টিকিটের অভাব। ভাড়া দ্বিগুণ দিয়ে যেতে হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন