যুযুধান: ঝিনাইডাঙায় অমিত শাহর সভাস্থলে বুধবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
উত্তরবঙ্গের সব ক’টি লোকসভা আসনই দলের দখলে আসবে বলে দাবি করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। বুধবার রাতে কোচবিহারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় এমনটাই দাবি করেন বিজেপির ওই নেতা।
তাঁর দাবি, রাজ্যে ২৫টি লোকসভা আসনে এ বারে বিজেপি জয়ী হবে। তাঁর মধ্যে উত্তরবঙ্গের সব ক’টি আসন রয়েছে। তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার গোটা রাজ্যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ভোটে মানুষ তারই জবাব দেবে। সবাই যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করব আমরা।” তিনি দাবি করেন, পঞ্চায়েত ভোটে ছাপ্পা দিয়ে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তার ভিডিও সহ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেবেন তাঁরা। কমিশন লোকসভা ভোটে স্বচ্ছতার ব্যবস্থা করবে।
এ ছাড়াও এ দিন বিজেপি নেতা জানান, গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অনন্ত মহারাজ গোষ্ঠী এবং কেপিপির অতুল রায় গোষ্ঠী অমিত শাহের সভায় যোগ দেবে। এ দিন ওই দুই সংগঠনের একাধিক নেতা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে তিনি জানান।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, দার্জিলিংয়ে এখনও সাধারণ মানুষ বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে রয়েছেন। জোর করে সেখানে বাসিন্দাদের মতামত বদলের চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এখানেই থেমে না থাকে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এনআরসি করা হবেও বলে জানান।
তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়ে যাঁরা এদেশে এসেছেন, তাঁদের এপাশে থাকার ব্যবস্থা হবে। কিন্তু যাঁরা অনুপ্রবেশ করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করতেই এনআরসি করা হবে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, কোচবিহারের উড়ান প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী না হওয়াতেই চালু হচ্ছে না।
তৃণমূল অবশ্য বিজেপির অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূল কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “গোটা বাংলায় বিজেপি কোনও আসন পাবে না। উত্তরবঙ্গে তো কোনও আসনের প্রশ্নই আসে না। তা বুঝতে পেরেই বিজেপি নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তা থেকেই এমন কথা বলছেন।” পর্যটন মন্ত্রী তথা দার্জলিং জেলার নেতা গৌতম দেব বলেন, “মধ্যপ্রদেশে রাজনীতি করেন কৈলাসবাবু। এবারে লোকসভায় সেখানে বিজেপি তাঁকে আসন দেয়নি। তাই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই দার্জিলিং কোনও দিন না এসেই সেখানকার মানুষের মনের কথা বলতে পাচ্ছেন তিনি।”