পাল্টা সভার ডাক তৃণমূলের

জেলা তৃণমূল এ কথাও য়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি জনসভা করতে চাইছে তারা। সেখানে দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তো থাকবেনই। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও আসবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

লোকসভা ভোটের আগে মালদহে অমিত শাহের জনসভায় ভিড় দেখে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তৃণমূল ও কংগ্রেস। বিশেষ করে, বিজেপির ওই সভায় যুব ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের হার তাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। আসন্ন ভোটের কথা মাথায় রেখে অমিতের সভার মাঠেই পাল্টা জনসভার ডাক দিল তৃণমূল।

Advertisement

জেলা তৃণমূল এ কথাও য়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি জনসভা করতে চাইছে তারা। সেখানে দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তো থাকবেনই। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও আসবেন। এদিকে, কংগ্রেসও উত্তর মালদহ লোকসভা এলাকায় পাল্টা সভার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি, ৪ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসকের দফতরে পূর্বঘোষিত আইন অমান্য কর্মসূচি সফল করতেও বাড়তি তোড়জোড় শুরু করেছে তারা।

মঙ্গলবার পুরাতন মালদহের নিত্যানন্দপুরে জনসভা করেন বিজেপির সর্বভারতী সভাপতি। সেই সভায় ইদানীং কালের মধ্যে চোখে পড়ার মতো ভিড় হয়েছিল বলে অভিমত রাজনেতিক মহলের। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তিন লক্ষের বেশি লোকের সমাগম হয়েছিল। মালদহ ও দুই দিনাজপুরের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ওই সভা ছিল। তবে মালদহ জেলা থেকেই বেশি পরিমাণে লোক অংশ নেয় বলে বিজেপির দাবি। জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এতেই তৃণমূল ও কংগ্রেসের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। তাই এখন থেকেই জেলায় অমিতের সভার রেশ কাটাতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামতে চাইছে তৃণমূল। মঙ্গলবার রাতেই দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ওই মাঠেই তাঁরা পাল্টা জনসভা করবেন। ব্রিগেড সভা সফল করতে যেভাবে গ্রামগঞ্জে নিবিড় প্রচার চালানো হয়েছিল, সেই একই কায়দায় এ দিন থেকেই পাল্টা সভার প্রচার শুরুও করা হয়েছে। বিজেপির সভাকে ছাপিয়ে যাওয়াই এখন লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার। তিনি এ দিন বলেন, “বিজেপি তিন জেলার লোককে হাজির করিয়ে ওই জনসভা করেছে। আমরা শুধু মালদহ জেলার লোক দিয়েই ওদের ওই সভাকে ফ্লপ করে দেব। ৩০ জানুয়ারি সেই পাল্টা সভা করা হবে। বিজেপির সভা নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই।’’ তিনি জানান, ওই সভায় হবিবপুর, বামনগোলা, গাজল, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর ও পুরাতন মালদহ থেকে আদিবাসী মানুষেরা ধামসা-মাদল নিয়ে আসবেন। আদিবাসী মহিলারা মাথায় কলসি নিয়ে মিছিল করে আসবেন। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অম্লান ভাদুড়ী বলেন, ‘‘প্রতিটি ব্লক থেকে পাঁচ হাজার যুব কর্মী যাবেন ওই সভায়।’’ অন্যদিকে, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘‘বিজেপির সভা নিয়ে উদ্বেগের কোনও বিষয় নেই। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসকের দফতরে আমাদের আইন অমান্য কর্মসূচি রয়েছে। আমাদের এখন লক্ষ্য সেই কর্মসূচিকে সফল করা। পাশাপাশি, উত্তর মালদহে একটি সভা করারও পরিকল্পনা রয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন