ঐতিহ্য বজায় রেখেই এ দিন পুরসভার বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। সোমবার শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের নান্টু পাল সহ তৃণমূল কাউন্সিলররা তাঁদের আগে আলোচনার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন। তার পরেই বেরিয়ে যান। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ নুরুল ইসলাম জানান, তাঁরা আবাসন বিষয়ে কয়েকটি নীতি পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে। তা গ্রাহ্য হয়নি। সেই দাবিগুলিই তিনি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বিস্তারিত দেখাতে চেয়েছিলেন। তৃণমূল কাউন্সিলররা তা শুনতে চাননি।
শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য অবশ্য এ দিনের তৃণমূলের ওই সভা ত্যাগকে অকারণ বলেই দাবি করেছেন। মেয়র বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি ভুমিকম্পপ্রবণ এলাকা। সেই কারণে শিলিগুড়ির আবাসনের বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেই এই আইন প্রণয়ন করবে বলে জানানো হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকা দিয়েও তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’ তবে পুরসভার সব সুপারিশ রাজ্য সরকার মানতে চায়নি বলে জানান তিনি। অশোকবাবুর দাবি, ‘‘আবাসন নিয়ে যে সব সুপারিশ করা হয়েছে, সেখানে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তা শুধরে নিয়ে ফের পেশ করা হবে রাজ্য সরকারের কাছে।’’ বিরোধী দলনেতা নান্টু পাল বলেন, ‘‘আমাদের না জানিয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন মেয়র। এমনকী বৈঠকে তা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তাই ওই বৈঠকে থাকার কোনও মানে হয় না।’’
এ দিন বৈঠকের শুরুতেই মেয়র পারিষদ বিল্ডিং বিভাগের নুরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, শিলিগুড়ির আবাসন নীতি নিয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হলেও সব প্রস্তাব গ্রহণ হয়নি। এর পরই তাঁদের না জানিয়েই প্রস্তাব পাঠানোর অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা রঞ্জনশীল শর্মা প্রথম সভা ত্যাগ করেন। পরে বাকিরাও বেড়িয়ে যান। এ দিন বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থা ও এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারাও উপস্থিত ছিলেন। শিলিগুড়িতে আবাসনগুলি কী ধরণের হবে, ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা, পুরসভার ভূমিকা কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়।