ভেঙে দেওয়া হল ইউনিট

গৌড়বঙ্গে দশ নেতাকে বহিষ্কার তৃণমূলের

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের ছাত্র সংসদের ইউনিট ভেঙে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি ওই ইউনিটের সভাপতি সহ দুই গোষ্ঠীর মোট দশ জন নেতা নেত্রীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৩
Share:

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের ছাত্র সংসদের ইউনিট ভেঙে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি ওই ইউনিটের সভাপতি সহ দুই গোষ্ঠীর মোট দশ জন নেতা নেত্রীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বরদাস্থ করা হবে না। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে এদিন ওই দশ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।’’ যদিও তাঁরা দলের কোন পদে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নেতাদের যাঁরা পিছন থেকে মদত দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও দল ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানান, দলীয় স্তরে একটি রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য স্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে কোন কোন নেতা মদত দিচ্ছেন, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

Advertisement

ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গত ৫ ডিসেম্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি তথা কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসের অনুগামীদের সঙ্গে দলেরই জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের ঘনিষ্ঠ নেতা বিশ্বজিৎ রায়ের অনুগামীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, বিশ্বজিৎবাবুর অনুগামীরা কলেজে বহিরাগতদের নিয়ে তৃণমূলের ছাত্র সংসদের ইউনিট ভাঙচুর সহ মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই ঘটনায় দু’পক্ষই একে অপরে বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

দলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য নেতৃত্বও। যার ফলে এ দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের ঘনিষ্ঠ আট নেতা নেত্রী এবং বিশ্বজিৎবাবুর দুই অনুগামীকে বহিষ্কার করল দল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎবাবুর ঘনিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিট সভাপতি আক্রাম আলি সহ আরিফ শেখ, মিজানুর রহমান, বর্ণা বসাক, দীপিকা রায় সহ মোট আট জনকে এদিন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্বজিৎবাবুর ঘনিষ্ঠ ছাত্র নেতা তারিকুল ইসলাম, শাহাজান ইসলামদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সভাপতি এ দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রসেনজিৎবাবু ও বিশ্বজিৎবাবুকেও। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। তাই দলের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পরিপেক্ষিতে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের শৃঙ্খলা কমিটি পুরো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন