সেনাপতি মোহনকেই জয়ের কৃতিত্ব তৃণমূলের

সকালে তখনও ঝাড়পোছ চলছে। অপেক্ষা করলেন না। সটান ঢুকে গেলেন পুরভবনে। নিজের হাতে কর্মীদের মিষ্টি মুখ করালেন ভোটে ঘাসফুল শিবিরের সেনাপতি, জলপাইগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু। বৃহস্পতিবার দুপুরে জানালেন, বোর্ড গঠনের পরে নাগরিক সভা ডেকে জলপাইগুড়িকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণের কথা। যেন বাইশ গজের রুদ্ধশ্বাস নট আউট লম্বা ইনিংস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৩
Share:

সকালে তখনও ঝাড়পোছ চলছে। অপেক্ষা করলেন না। সটান ঢুকে গেলেন পুরভবনে। নিজের হাতে কর্মীদের মিষ্টি মুখ করালেন ভোটে ঘাসফুল শিবিরের সেনাপতি, জলপাইগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু। বৃহস্পতিবার দুপুরে জানালেন, বোর্ড গঠনের পরে নাগরিক সভা ডেকে জলপাইগুড়িকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণের কথা। যেন বাইশ গজের রুদ্ধশ্বাস নট আউট লম্বা ইনিংস।

Advertisement

১৯৯০ সালে কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভের পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৩ সালে পুরসভার চেয়ারম্যান। ১৮৮৫ সালের ১ এপ্রিল গঠিত পুরসভার এবারও তিনি চেয়ারম্যান হচ্ছেন। এর আগে কেউ টানা চার দফায় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন না। শুধু কি চেয়ারম্যানের রেকর্ড। এর আগে তিন দফায় চেয়ারম্যানের পদ সামলে তাঁর ব্যক্তিগত প্রভাব সময় সময় দলকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এবার ভোটের ফলাফল দেখে বিরোধী শিবিরও অস্বীকার করতে পারছে না দল পরিবর্তনের পরেও শহরে ‘মোহন ম্যাজিক’ অব্যাহত। পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দল নেতা সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডল বলেন, “সাংগঠনিক শক্তি নয়। মোহনবাবুর অভিজ্ঞতা এবং গ্রহণযোগ্যতা তৃণমূলের সাফল্যের চাবিকাঠি।”

এবারের পুরভোটের ফলাফলের সঙ্গে ২০১০ সালের ফলাফলের প্রচুর মিল খুঁজে পাচ্ছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা জানান, ২০১০ সালে মোহনবাবুর নেতৃত্বে ১৬টি আসনে জয়লাভ করে পুর বোর্ডের দখল নেয় কংগ্রেস। এবার মোহনবাবুকে সামনে রেখে ভোট যুদ্ধে নামে তৃণমূল। জোর প্রচারের পর ভোটের ফলাফলে ১৫টি আসন এবারও। সেনাপতি এক ছিল। শুধু দল ও প্রতীকের পরিবর্তন ছিল। যদিও মোহনবাবুর ভিন্ন মত। তাঁর দাবি, “সাফল্য দলের। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে মানুষ ভোট দিয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement