পাহাড়ের পুরভোটে পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে সমতলের নেতৃত্বকেও সামিল করল তৃণমূল। রবিবার রাতে মাটিগাড়ার উত্তরায়ণ উপনগরীর একটি হোটেলে দলের বৈঠক হয়। বৈঠকে দার্জিলিং জেলার পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি গৌতম দেব, জলপাইগুড়ির সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ারের সভাপতি মোহন শর্মা এবং কোচবিহারের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়ারাও। সেখানেই জেলার নেতাদের নিয়ে একটি টিম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দলের নেতারা জানান, পাহাড়ে এখনও পুরভোটে তৃণমূল লড়াই করেনি। সেখানে সমতলের নেতারা একাধিক ভোট পরিচালনা করে ফেলেছেন। তাই প্রার্থী চয়ন, বুথ ভিত্তিক সংগঠন, ভোটের দিনের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সমতলের এমন নেতাদের সামিল করা হল। তাঁরা পুরসভার ভিত্তিক টিম করে স্থানীয় নেতানেত্রীদের নিয়ে দ্রুত ময়দানে নামবেন। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এমন প্রার্থীদের বাছাই করার উপর জোর দিয়ে দ্রুত তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ১৪মে ভোটের দিন স্থির হলেও এ মাসেই মনোনয়ন জমার দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। অরূপবাবু থেকে গৌতমবাবু, সৌরভবাবুরা বৈঠকের প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি।
এ দিন পাহাড়ের আগে শিলিগুড়ি পুরসভা নিয়েও আলোচনা হয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠকে স্থির হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক জনজাতির বোর্ড গঠন, মহকুমা ঘোষণা এবং উন্নয়নের একাধিক কর্মসূচিকে প্রচারের সামনে সারিতে রাখার কথা হয়েছে। চারটি পুরসভার মধ্যে কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিক নিয়ে বেশি চিন্তিত মোর্চা নেতৃত্ব। কিছু দিন আগে অবধিও মোর্চা সভাপতি টানা ১ মাস কালিম্পঙে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন। সেখানে হরকাবাহাদুর ছেত্রী, অমর লামাদের ‘জাপ’ও রয়েছে। দার্জিলিঙের সারদা সুব্বা বা কার্শিয়াঙের শান্তা ছেত্রী, ঘাসফুলের পতাকা দিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন, সদ্য প্রাক্তন মোর্চার সহ-সভাপতি প্রদীপ প্রধানেরা। তার ফলও মিলেছে। কিছু দিন আগে বিজনবাড়ি কলেজে ভোট ১১টি আসনে ১০টিতেই তৃণমূল জিতেছে।
বসে নেই মোর্চাও। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে রোড মিটিং, মিছিল চলছে। সিংমারির সদর দফতরে নেতাদের ডেকে পাঠিয়ে কৌশল ঠিক করছেন বিমল গুরুঙ্গ। সম্প্রতি সুকনায় এসে তিনি বলেছেন, ‘‘তৃণমূলে ভোটে জেতার জন্য কোনও কিছুই বাদ রাখবে না, তা আমি জানি। কিন্তু জাতির আবেগে মানুষ আমাদেরই ভোট দেবে।’’