তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাহাড়ে তাঁদের ছাত্র সংগঠন ভাঙানোর অভিযোগ তুলল জন আন্দোলন পার্টি। সামনে পাহাড়ে পুরসভা, পঞ্চায়েত এবং জিটিএ নির্বাচনও রয়েছে। তার আগে পাহাড়ে তৃণমূলের বন্ধু সংগঠন জাপের ওই অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়েছে। মঙ্গলবার ভোরে জাপের যুব সংগঠনের নেতারা শিলিগুড়ির দুই মাইলে একটি হোটেলে গিয়ে অভিযোগ করেন, কালিম্পং কলেজের ছাত্র সংসদে তাঁদের দুই প্রতিনিধিকে তৃণমূল প্রলোভন দেখিয়ে, জোর করে এনে লুকিয়ে রেখেছে।
হাকিমপাড়ায় পর্যটন মন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দেবের বাড়িতে গিয়েও সেই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। গৌতমবাবু কলকাতায়। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে জাপের ছাত্র-যুবরা গিয়েছিলেন শুনেছি। শহরে ফিরে অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ পরে সাংবাদিক বৈঠক করে জাপের যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমির বাসনেট, যুব শাখার চেয়ারম্যান পঙ্কজ ছেত্রীরা অভিযোগ তোলেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক কাজে নেমেছে। কালিম্পং কলেজে একটি আসনেও না-জিতে ঘোড়া কেনাবেচা করে তৃণমূল ছাত্র সংসদ গড়তে চাইছে।
জাপের সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্র রক্ষার কথা সব সময় বলেন। অথচ তাঁর দলের কিছু নেতা অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেই আমি আশাবাদী।’’ তাঁর দাবি, কালিম্পং কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীরা কেউ শূন্য ভোটও পেয়েছেন।
৫ শতাংশের বেশি কেউ পাননি। গণতন্ত্র মেনে তাঁদের ছাত্র সংগঠন জন আন্দোলন স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (জাসু) বোর্ড গড়েছে। তাঁদের দাবি, সেই বোর্ড ভেঙে দখল করার চেষ্টা চলছে। ফেব্রুয়ারিতে কালিম্পং কলেজের বিদ্যাথী মোর্চার ৬ প্রতিনিধিকে প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূলে সামিল করানোর অভিযোগ ওঠে।
পাহাড় তৃণমূলের নেতা বিন্নি শর্মা বলেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কেউ তৃণমূলে এসে থাকলে স্বেচ্ছায় এসেছেন। আমরা প্রলোভন দেখিয়ে বা কাউকে অপহরণ করে দলে আনিনি।’’
ওই দাবি মানতে নাজার আমির বাসনেট, অর্পণ গুরুঙ্গদের মতো জাপের যুব নেতারা। গত ডিসেম্বরে কালিম্পং কলেজ নির্বাচনে ২২টি আসনের মধ্যে জাসু ১২টিতে জেতে। বিদ্যার্থী মোর্চা জিতেছে ১০টিতে। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরির অভিযোগ, তাঁদের ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও তৃণমূল অনৈতিক ভাবে দলে টানছে।