খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতার ভাইপোকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের কালিয়াচকের মোথাবাড়ি ফাঁড়ির দিয়ারা গ্রামে এই ঘটনায় তৃণমূলের গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সহ দশজনের নামে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:০৯
Share:

স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতার ভাইপোকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের কালিয়াচকের মোথাবাড়ি ফাঁড়ির দিয়ারা গ্রামে এই ঘটনায় তৃণমূলের গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সহ দশজনের নামে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিন্টু শেখ (৩২)। ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, খুনের ঘটনায় শাসক দলের নাম জড়িয়ে যাওযায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে টালবাহানা করছে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে গ্রামে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিন্টু শেখ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করলেও কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর কাকা গোলাম রসুল কালিয়াচক ২ ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের কংগ্রেসের সম্পাদক। বছর খানেক আগে ওই গ্রামের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা আফরুন নেশা ও তাঁর স্বামী সেনাউল শেখ তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ, তাঁরা গোলাম রসুলদেরও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় গোলমাল লেগে থাকত। এ দিন রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ গ্রামের বাস স্ট্যান্ড থেকে চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সিন্টু শেখ। সেই সময় তৃণমূলের সেনাউল শেখের নেতৃত্ব জনা দশেকের একটি দল সিন্টুর পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে বলে অভিযোগ। সীলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

সিন্টুর পরিবার সেনাউল শেখ সহ দশ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কংগ্রেস নেতা গোলাম রসুল বলেন, সেনাউল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই আমাদেরকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। তবে আমরা সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে, নানা কারণে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এ দিন আমার ভাইপোকে নৃশংস ভাবে খুন করা হল।’’ তবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আফরুন নেশা বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলে খুনের কারণ স্পষ্ট হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement