‘ঘুরে দাঁড়াতে’ বৈঠকে রবি

রবিবার কোচবিহারে মন্ত্রীর বাড়িতেই তাঁর বিধানসভা এলাকা নাটাবাড়ির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০৩:৫০
Share:

বৈঠকে: দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র

জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে বুথ স্তর থেকে সংগঠন সাজিয়ে তুলতে আসরে নামলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

Advertisement

রবিবার কোচবিহারে মন্ত্রীর বাড়িতেই তাঁর বিধানসভা এলাকা নাটাবাড়ির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন দেওয়ানহাট, দেওচড়াই সহ পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি-সহ সংগঠনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা হাজির ছিলেন। বৈঠকে সবাই সংগঠিত হয়ে রাস্তায় নামার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। প্রয়োজনে তিনিও মিছিল, মিটিংয়ে থাকবেন বলেও জানিয়ে দেন। মন্ত্রী বলেন, “দলের কর্মীরা দলের সঙ্গেই আছেন। বিজেপি দু-একজনকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। লাভ হবে না। প্রত্যেকেই জোড়া ফুল চিহ্নে জয়ী হয়েছেন। সেখানেই থাকবেন।”

কোচবিহারে লোকসভা নির্বাচনে ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী। তার পর থেকেই তৃণমূলে কার্যত ধস নামে। জেলার ২৬টির বেশ ই গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য ইতিমধ্যেই বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন। অঞ্চল ও ব্লক স্তরের একাধিক নেতা বিজেপি’তে নাম লেখানোর চেষ্টা করছেন বলে দল সূত্রেই খবর। এই অবস্থায় সংগঠনকে চাঙ্গা করা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে দলের জেলা সভাপতি সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে। ব্লক কমিটি ভেঙে দিয়ে বিধানসভা ভিত্তিক বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাটাবাড়ি বিধানসভায় এলাকায় ১৬টি পঞ্চায়েত রয়েছে। বিজেপি’র দাবি, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে ইতিমধ্যেই পানিশালা-সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল তা স্বীকার করতে না চাইলেও পরিস্থতি যে ভাল নয়, তা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন।

Advertisement

এই অবস্থায় পঞ্চায়েত স্তর থেকে সংগঠনকে মজবুত করে তুলতে আসরে নেমেছেন মন্ত্রী। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, ভোটের আগে সব গ্রাম পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী ছিল। বহু এলাকায় মিছিল করার মতো লোক ছিল বিজেপির। ফল প্রকাশের পরে পরিস্থিতি পুরোপুরি উল্টো হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকাতেই তৃণমূলের কর্মীদের এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। তৃণমূল থেকে একাধিক সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। বাকিরা বসে গিয়েছে। অনেকে আবার ভয়ে ঘরছাড়া হয়ে রয়েছে। সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে এসে আবার রুখে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, “মানুষ এখনও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তা শীঘ্রই প্রমাণিত হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন