স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ রিসর্টে, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

স্কুল ছাত্রীকে রিসর্টে নিয়ে গিয়ে সহবাস করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের এক চা শ্রমিক নেতাকে। বুধবার রাতে ডুয়ার্সের মেটেলি থানার বাতাবাড়ি এলাকার একটি রিসর্টে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩০
Share:

স্কুল ছাত্রীকে রিসর্টে নিয়ে গিয়ে সহবাস করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের এক চা শ্রমিক নেতাকে। বুধবার রাতে ডুয়ার্সের মেটেলি থানার বাতাবাড়ি এলাকার একটি রিসর্টে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধৃত মহম্মদ শামিমকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল।

Advertisement

শামিমের বাড়ি বানারহাট থানার রিয়াবাড়ি চা বাগানে। যে বেসরকারি রিসর্টে শামিম ছাত্রীটিকে নিয়ে উঠেছিলেন, খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় ওই ছাত্রীর আত্মীয়রা। শামিমের ওপর চড়াও হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে তারা। ছাত্রীটিকেও উদ্ধার করে বানারহাটে নিয়ে আসা হয়। এর পর তারা বানারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মহম্মদ শামিমকে গ্রেফতার করে।

পুরো ঘটনা জানাজানি হতেই বানারহাট এলাকার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে তৃণমূলের সঙ্গে মহম্মদ শামিমের কোনও যোগাযোগই নেই বলে দাবি করা হয়েছে। বানারহাট ব্লকের তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা রাজু গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে মহম্মদ শামিম পরাজিত হয়। এরপর থেকেই দলের সঙ্গে তার যোগাযোগ ক্ষীণ হয়ে যায়।’’ মহম্মদ শামির দুই স্ত্রী রয়েছেন। এক স্ত্রী ইউডেন ভুটিয়া বানারহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য। পেশায় ঠিকাদার মহম্মদ শামিম বানারহাটের ওই একাদশ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে কিছুদিন ধরেই বাইরে নিয়ে যাওয়ার ছক কষছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রিসর্টে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীটিকে অচেতন করে রাখা হয় বলেও ছাত্রীর বাড়ির অভিযোগ। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, ধর্ষণের মামলা রুজু করে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন