শেষ মামলাতেও জামিন, বাইরে বেরলেন হিম্মত

জামিন পেলেন জমি দখল কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মত সিংহ। চলতি বছরের ৫ অগস্ট চম্পাসারিতে সরকারি জমি দখল করে বাজার করার মামলায় হিম্মতকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকে মোট সাতটি মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪১
Share:

জামিন পেলেন জমি দখল কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মত সিংহ।

জামিন পেলেন জমি দখল কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মত সিংহ। চলতি বছরের ৫ অগস্ট চম্পাসারিতে সরকারি জমি দখল করে বাজার করার মামলায় হিম্মতকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকে মোট সাতটি মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। তার মধ্যে ৬টি মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন হিম্মত। প্রধাননগর থানা এলাকার চম্পাসারিতে একটি বেসরকারি জমি দখলের মামলায় নাম জড়িয়েছিল হিম্মতের। যদিও সেই মামলার মূল অভিযোগ বা এফআইআরে নাম ছিল না তাঁর। শনিবার সেই মামলাতেই জামিন পেয়েছেন তিনি।

Advertisement

একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও একে একে সব মামলায় হিম্মত জামিন পেয়ে যাওয়া উঠেছে প্রশ্ন। দীর্ঘ দিন ধরেও পুলিশ কি মামলা ঠিক মতো সাজাতে পারল না? উঠেছে এই প্রশ্নও। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা অবশ্য বলেন, ‘‘আদালত কেন জামিন দিল এ বিষয়ে কিছু বলব না। তবে আমরা কয়েকটি মামলায় চার্জশিট দিয়েছি। বাকিগুলি নিয়েও কাজ চলছে।’’

গত অগস্টে হিম্মতকে গ্রেফতার করা হয়। তার প্রতিবাদে প্রধাননগর থানা ঘেরাও করে গুলি চালানোর অভিযোগও ওঠে তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে একাধিক মামলায় জড়িয়ে হিম্মতের জামিনের পথ বন্ধ করেছিল পুলিশ।

Advertisement

২১ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত হিম্মতের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বেসরকারি জমি জখলের মামলায়। অগস্টে গ্রেফতার হওয়ার ১৩৮ দিনের মাথায় জামিন পেয়ে শনিবার শিলিগুড়ি জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।

হিম্মতের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জামিন পাওয়ার পরেই তিনি কলকাতায় একটি নার্সিংহোমে গিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। পরিবারের দাবি দীর্ঘ দিন বন্দি থাকার জন্য হিম্মতের হৃদযন্ত্রের সমস্যা বেড়েছে এবং মধুমেহ রোগ হওয়ার জন্য তিনি অসুস্থ রয়েছেন।

প্রধাননগর থানায় তিনটি মামলা, গোয়েন্দা শাখার একটি মামলা এবং মাটিগাড়া থানার তিনটি মামলায় লড়ার জন্য মোট তিনবার আইনজীবী বদলেছেন হিম্মত। এখন তাঁর আইনজীবী শিলিগুড়ি আদালতের চন্দন দে। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ সেরকমভাবে কোনও দোষই প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু দিনের পর দিন আমার মক্কেলকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা সেটা আদালতের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছি।’’ সরকারি আইনজীবীর তরফে অবশ্য কোনও বক্তব্য মেলেনি।

শিলিগুড়ি কমিশনারেট এলাকায় একের পর এক সরকারি ও বেসরকারি জমি দখল হওয়ার অভিযোগ উঠছিল। এ বছরের মাঝামাঝি উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি বেদখল রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন পুলিশকে। তারপর থেকেই প্রচুর জমির দালাল এবং জমি মাফিয়া গ্রেফতার হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন