Harishchandrapur

গণধর্ষণের বিচার কবে, আর্তি মায়ের

কিশোরীর দুই ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:০০
Share:

প্রতীকী ছবি

স্কুল থেকে ফেরার পথে পাটের খেতে টেনে নিয়ে গিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। অত্যাচারে বাক্‌শক্তি হারিয়েছিল ওই কিশোরী। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে পরিজনেরা জানতে পারেন, সে গর্ভবতী। পরে তার সন্তানও হয়।

Advertisement

কিশোরীর পরিজনদের অভিযোগ, পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ না করায় অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। অভিযোগ, তার পর থেকে ওই কিশোরীর পরিবারকে মামলা না তুললে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই কিশোরীর দুই ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।

ওই ঘটনায় অভিযুক্ত এলাকার দাপুটে তৃণমূল কর্মী হওয়ায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ওই কিশোরী ও তার পরিজনেরা। সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে একটি মানবাধিকার সংগঠনও। প্রয়োজনে কিশোরীর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করার দাবিও তারা তুলেছে। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে পাটখেতে টেনে নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী এক যুবক ও তার তিন সঙ্গী। তিন জনকে পাহারায় রেখে মুখে কাপড় গুঁজে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে এক জন। ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে। আতঙ্কে বাক্‌শক্তি হারায় ওই কিশোরী। কয়েক মাস পরে স্বাভাবিক হওয়ায় পরে সব জানায়। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সে ছাড়া পেয়ে যায়। ওই কিশোরীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। এখন তার দু’বছরের এক সন্তান রয়েছে। এ দিন মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই মালদহে যান তার মা।

তার পরিবারের অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত, তার দুই ভাই ও বাবা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। অভিযোগ, সবাই মিলে মামলা তোলার জন্য ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছেন।

তরুণীর মা বলেন, ‘‘আমরা গরিব মানুষ। তাই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টে আমার দুই ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ওরা ক্রমাগত খুনের হুমকি দিচ্ছে। বিচারের আশাতেই এখানে এসেছি।’’

তাঁদের সঙ্গে থাকা ‘গৌড়বাংলা হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্নেস সেন্টারের’ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘ওই শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করালেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু ওঁরা গরিব বলে পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না। উল্টে মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা ভাবে হেনস্থা করছে।’’

জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর এ নিয়ে বলেন, ‘‘কেউ অন্যায় কাজ করে থাকলে দল কখনও তাকে প্রশ্রয় দেয় না। আইন আইনের পথেই চলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন