আবার অশোক ভট্টাচার্য মডেলের জয়। এবং খাস শিলিগুড়িতেই! শনিবার শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের পরে রবিবার যে ফল প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বাম এবং কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন আইনজীবী জোটের প্যানেলের কাছে হেরে গিয়েছে তৃণমূল মনোভাবাপন্ন উকিলদের প্যানেল। ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল মনোভাবাপন্নদের এক প্রার্থী ছাড়া সকলেই হেরে গিয়েছেন।
তৃণমূল মনোভাবাপন্নদের হয়ে সভাপতি হিসেবে প্রার্থী ছিলেন পীযূষকান্তি ঘোষ। তিনি হেরে গিয়েছেন বিরোধী জোটের প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী সুরেশ মিত্রুকার কাছে। হারের পরে পীযূষবাবু বলেন, ‘‘বার অ্যাসোসিয়েশন আইনের আঙিনা। এখানে আমরা রাজনীতি করতে যাইনি।’’ বাম-কংগ্রেস জোটের অন্যতম নেতা তথা আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, ‘‘গোটা বাংলা যা চাইছে, আজকে শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটের মধ্যে দিয়ে সেটাই প্রকাশিত হচ্ছে।’’ একই মত বামপন্থী আইনজীবীদেরও। আর দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের অন্যতম নেতা কুন্তল গোস্বামীর কথায়, ‘‘মানুষ যে জোটের পক্ষে রয়েছেন, এটা তারই একটা চিত্র।’’
জোটের আইনজীবীরা শোনাচ্ছিলেন, তৃণমূলকে হারাতে কী ভাবে তাঁরা জোট বেঁধেছেন বার অ্যাসোসিয়েশনেও। বলছিলেন, প্যানেল তৈরির সময়েই কংগ্রেস ও বাম মনোভাবাপন্নরা এক জোট হয়েছিলেন তৃণমূলকে আটকানোর লক্ষ্যে। সহকারী সভাপতি, সহকারী সম্পাদক এবং এগজিকিউটিভ মেম্বারদের একটি পদ বাম মনোভাবাপন্ন আইনজীবীদের দেওয়া হয়। বাকিগুলিতে লড়েন কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন জোট প্রার্থীরা।
দু’পক্ষই এই জয়কে জোটের জয় বলেই চিহ্নিত করেছেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের মোট ভোটার ১০৪৮। এর মধ্যে ৯৩৩ জন শনিবার ভোট দেন। ৯টি এগজিকিউটিভ মেম্বারের পদ আছে। তার একটিতে তৃণমূল মনোভাবাপন্ন প্রার্থী জেতেন। বাকিগুলি সবই যায় জোটের দখলে।