পে কমিশন চেয়ে পথে তৃণমূলও

সংগঠনের জেলা সভাপতি নির্মল সরকার বলেন, “পে কমিশন নিয়ে আন্দোলন করার প্রস্তাব আমরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছি। এ সরকারি কর্মীদের অধিকার।”

Advertisement

অনির্বাণ রায় 

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৯ ০৬:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংগঠন ধরে রাখতে পে কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করার দাবিতে এবার জলপাইগুড়িতে আন্দোলনে নামছে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনও। ‘নজিরবিহীন’ হলেও এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা নেতারা। গত মঙ্গলবার শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপর্যয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতেই বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি চেয়ে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে সংগঠন। পে কমিশন নিয়ে আন্দোলনে নামলে তা যে কার্যত সরকারের বিরুদ্ধেই যাবে, সেটা মানছেন জেলা নেতারা। তবু জেলার এক শিক্ষক নেতার কথায়, “এখন পে কমিশনই সব সরকারি কর্মীদের প্রধান দাবি। তা জেনেও আমরা যদি চোখ বুজে থাকি, তবে তো জেলায় সংগঠনই ধরে রাখতে পারব না।”

Advertisement

জলপাইগুড়িতে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপর্যয় হয়েছে। গত মঙ্গলবার শহরের সোন্নাউব্লা স্কুলে শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে দলের হারের পিছনে সংগঠনের ব্যর্থতা এবং মূল সংগঠনের নেতাদের একাংশের জীবনযাপন এবং আচরণকেই দায়ী করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের চাকরি করলেও সরকারের কিছু সিদ্ধান্তে অনেকেই অখুশি। টানা স্কুল বন্ধের প্রসঙ্গও ওঠে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে ভোটের পরে সংগঠন ধরে রাখা যাবে কিনা, সে নিয়ে আশঙ্কাও উঠে আসে। বিজেপি সরকারি কর্মী সংগঠন গোছাতে তোড়জোড় শুরু করেছে বলে দাবি করেন অনেক নেতা।

তার পরেই পে কমিশন নিয়ে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি নির্মল সরকার বলেন, “পে কমিশন নিয়ে আন্দোলন করার প্রস্তাব আমরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছি। এ সরকারি কর্মীদের অধিকার।” এই আন্দোলন কি সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়? জেলা সভাপতির মন্তব্য, “তৃণমূল সরকার পে কমিশন দিতেই চায়। শিক্ষকদের মাসের প্রথম দিনে বেতন দেওয়া তো এই সরকারই চালু করেছে।”

Advertisement

শিক্ষক সংগঠনের আরও প্রস্তাব, তৃণমূলের মূল সংগঠনে বুথ স্তরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের সভাপতি করা হোক। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে এই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের নেতৃত্বের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোক না আনলে বিপর্যয় মোকাবিলা করা যাবে না বলে শিক্ষকদের দাবি। সেই প্রস্তাব দিয়ে আসলে জেলা তৃণমূলের বুথ স্তর থেকে নেতৃত্ব পরিবর্তনের পক্ষেই শিক্ষক সংগঠন সওয়াল করল, মনে করছেন জেলা নেতাদের অনেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন