রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি-বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃত্ব কায়েম নিয়ে ফের গুলি-বোমার লড়াই হল রায়গঞ্জে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে গোলমালের জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপরে লাঠি নিয়ে হামলা চালায় টিএমসিপি নেতা-কর্মীদের কয়েকজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৫:২৯
Share:

উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ছবি: বিবেকানন্দ সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃত্ব কায়েম নিয়ে ফের গুলি-বোমার লড়াই হল রায়গঞ্জে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে গোলমালের জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপরে লাঠি নিয়ে হামলা চালায় টিএমসিপি নেতা-কর্মীদের কয়েকজন। তাতে কলেজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পড়ুয়ারা এলোমেলো ভাবে ছোটাছুটি করে পালান। সে সময়ে পড়ে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে রায়গঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আক্রান্ত ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা কয়েকটি ক্লাস রুমে ঢুকে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজনের দাবি। ওই সময়েই ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে লাঠিপেটা করা হয়। সিপি-র কয়েকজন রুখে দাঁড়ালে শূন্যে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তখনই কলেজ চত্বরে পর পর বোমা পড়তে থাকে। পুলিশের উপস্থিতিতেই বোমা-গুলি চলে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, কলেজে ভর্তির সময়ে গোলমালের আশঙ্কায় কয়েকদিন ধরেই চত্বরের কাছে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু, পুলিশ জানিয়েছে, বিনা অনুমতিতে কলেজের মধ্যে ঢোকা সম্ভব ছিল না। কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেওয়ার পরে পুলিশ ঢুকে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সামনের মাঠে পরপর চারটি বোমা ফাটায় দুষ্কৃতিরা। নীরব দর্শকের ভুমিকায় দেখা যায় পুলিশকে। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই কলেজের ভেতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। কিন্তু তাদের গ্রেফতার না করে পালিয়ে যেতে পুলিশ মদত দিয়েছে বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন