ক্ষত: আব্দুল কায়ুমের গলায় কোপ। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
ফের শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়াল ময়নাগুড়ি কলেজে। দু’দল ছাত্রের সংঘর্ষ চলার সময় এক ছাত্রের গলায় কোপ মারা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় ভিক্টর রায় নামে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ অ্যাডমিট কার্ড তোলাকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে ভাঙচুর-সংঘর্ষ হয়। সে দিনের ঘটনার জেরে গঠিত কলেজের তদন্ত কমিটির শুনানি ছিল শনিবার। শুনানি চলাকালীনই কলেজের বাইরে গোলমাল বেধে যায়। আব্দুল কায়ুম নামের এক ছাত্রের গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম ওই ছাত্র জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে৷ শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে নাম জড়িয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারেরও। ময়নাগুড়ি থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নামও রয়েছে।
ময়নাগুড়ি কলেজে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এবং জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে পরিচিতদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই গোলমাল চলছে। এ দিন শুনানির সময়ে এক পক্ষের পড়ুয়ারা কলেজের ভিতরে ঢুকতে গেলে অন্য পক্ষ পথ আগলে দাঁড়ায়। তারপরেই শুরু হয় বচসা। গোলমাল শুরু হতেই বহিরাগতরাও জড়ো হয়। সে সময়েই আব্দুলের গলার বা দিকে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আব্দুল সহ দু’পক্ষের চারজন জখম হয়েছেন৷ জ্যোতির্ময় রায় নামে জখম এক ছাত্রের অভিযোগ, তাঁকেও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷
কলেজের অধ্যক্ষ দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনার সময় কলেজে একটি বৈঠক করছিলাম৷ কী হয়েছে খতিয়ে দেখছি’’ এ দিকে সৌরভবাবু বা সৈকতবাবু দু’জনের কেউই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি।