পথে নামলেন পার্থ, নেই রবি

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী অবশ্য এ দিনও উপস্থিত ছিলেন না জেলায়। তিনি শিলিগুড়িতে বীরসা মুন্ডার মূর্তি উদ্বোধনে যান। সেখান থেকে কলকাতায় চলে যান।

Advertisement

স্যমন্তক ঘোষ ও নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৯
Share:

পথে: কোচবিহারে যুব তৃণমূলের মিছিল। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক ধরেই স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। কেউই কারও থেকে কম নয়, এমন বার্তা দিতেই উঠে পড়ে লেগেছিল দু’দল। শুক্রবার সেই সভার বিরোধিতায় সরাসরি না হলেও দলবল নিয়ে পথে নামলেন যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়।

Advertisement

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী অবশ্য এ দিনও উপস্থিত ছিলেন না জেলায়। তিনি শিলিগুড়িতে বীরসা মুন্ডার মূর্তি উদ্বোধনে যান। সেখান থেকে কলকাতায় চলে যান। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “বিজেপির সভায় নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনও আগ্রহ ছিল না। নানাভাবে প্রচারে আসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। সামান্য সংখ্যক লোক নিয়ে সভা হয়েছে। আমি গুরুত্বপূর্ণ কাজে শিলিগুড়ি এসেছি।” যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থবাবু বলেন, “আমরা রাস্তায় ছিলাম। কোথাও গণ্ডগোলের চেষ্টা হলে প্রতিহত করা হত।”

দিন কয়েক ধরেই বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে বিরোধিতায় নামে তৃণমূল। যুব ও মূল তৃণমূল আলাদা আলাদা ভাবে পথে নামে। দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির বিরোধিতাকে কাজে লাগিয়ে দলের অন্দরে কোন গোষ্ঠী বেশি শক্তিশালী তা নিয়ে কার্যত প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রথযাত্রার আগের দিন তৃণমূল জেলা সভাপতি অসমে যান দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে। ওইদিন শহরে সংহতি দিবসের নামে মিছিল বের করে বিজেপি বিরোধিতায় নামে। এ দিনও সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শ’দুয়েক কর্মী নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় পার্থবাবুকে। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন কর্মীর হাতে বাঁশের লাঠি ছিল। এ ছাড়াও স্টেশন মোড়-সহ একাধিক জায়গায় জমায়েত করে বিজেপি। সুটকাবাড়িতে যুব তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকে দেয়।

Advertisement

দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ না থাকলেও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা একাধিক জায়গায় মিটিং-মিছিল করেন। তুফানগঞ্জে তাঁর অনুগামীরা মিছিল বের করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী-পুত্র পঙ্কজ ঘোষ। এ ছাড়াও একাধিক রাস্তায় মন্ত্রীর অনুগামীরা জমায়েত করে রাখেন বলেও অভিযোগ। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূল নিজেদের কোন্দল থামাতে পারে না। কে কত বড় নেতা তা দেখাতে গন্ডগোল তৈরি করছে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীই আমাদের কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি আটকে দিয়েছে।”

দুই নেতাই অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। পার্থবাবু বলেন, “এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূলে আমরা সবাই এক। কোথাও গন্ডগোলের চেষ্টা হলে তা রুখে দেওয়া হত। সে জন্যেই সবাই রাস্তায় ছিলাম।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন