তোড়জোড়: মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। নিজস্ব িচত্র
পাঁচদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার শিলিগুড়ি এসে পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। এ দিন বিকেলেই কাঞ্চনজঙ্ঘা ত্রীড়াঙ্গণে উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। সোমবারই তাঁর দার্জিলিং যাওয়ার কথা।
উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের যোগ দেওয়ার কথা। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুসারে আজ, সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ অনুষ্ঠানে চলে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। থাকবেন মাত্র ২০ মিনিট। তারপরেই চলে যাবেন দার্জিলিংয়ে। তারমধ্যেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হবে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ৮ জনকে বঙ্গরত্ন পুরস্কার বিতরণের কর্মসূচি রয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪০টি দল নাচ-গানের প্রদর্শন করবে। মাঠে ৬ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে বসতে পারবেন ২০ হাজার মানুষ। পুরো মাঠটিকে ৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। মঞ্চে প্রায় ৪০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারা সেখানে উপস্থিত হতে পারবেন, তার তালিকা রবিবার সন্ধেবেলাই চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা।
এই সফরকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব শহরজুড়ে। ব্রিগেড সেরে শনিবারই বিমানে শিলিগুড়ি ফিরে আসেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার দুপুর থেকেই মঞ্চের প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। দুপুরে ঘুরে দেখেন কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গণও। মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী খুব অল্প সময় থাকবেন অনুষ্ঠানে। ট্রাফিক ব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠু থাকে। ঠিকঠাকভাবে মানুষ উৎসবে হাজির হতে পারে তা দেখতে হবে।’’ এ দিন বৈঠকে হাজির ছিলেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা এবং ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা অফিসাররা। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে খোঁজখবর নেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। সন্ধেয় মাঠে গিয়েও তদারকি করেন তিনি।
শিলিগুড়ির যানজট নিয়ে রোজই ভোগান্তির অভিযোগ ওঠে। সোমবার যাতে শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য তৎপর শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘আমরা শিলিগুড়ি কলেজ মাঠে গাড়িগুলি রাখার ব্যবস্থা করছি। বেলা দুটোর মধ্যে ক্রীড়াঙ্গণে ঢুকে পড়ার অনুরোধ করছি সকলকেই।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, কলেজ মাঠে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০টি গাড়ি থাকবে। বেলা দু’টোর পরে সেখানে গাড়ি রাখার অনুমোদন করা হবে না। তারপর বাঘাযতীন পার্কের আশেপাশে গাড়ি রাখার পরিকল্পনা করছে পুলিশ। সেখানে গাড়ি রেখে হেঁটে আসবেন মানুষ। প্রয়োজনে পানিট্যাঙ্কি মোড়, মহানন্দা সেতুর নীচে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফাঁসিদেওয়া, খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ির দিক থেকে আসা গাড়িগুলোকে এসএফ রোডের কাছে হিন্দি হাইস্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সুকনা ও সেবকের দিক থেকে আসা গাড়ি পানিট্যাঙ্কি মোড় থেকে দ্বিতীয় মহানন্দা ব্রিজের কাছে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর বাকি থাকবে মার্গারেট স্কুলের সামনে।
ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলাতে বেশ কিছু জায়গায় বেআইনি টোটো এবং সিটি অটোর চলাফেরা বারণ থাকছে। সোমবার কোর্ট মোড় এলাকায় কোনও গাড়ির স্ট্যান্ড করতে দেবে না পুলিশ। নজর রাখা হচ্ছে হাসপাতাল মোড়েও।