জমি নিয়ে বার্তা মন্ত্রীর

এ দিন ফুলবাড়ি-২ অঞ্চল সম্মেলন ছিল। সেখানে এলাকার উন্নয়নের খতিয়ান মানুষের মধ্যে তুলে ধরার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২৯
Share:

পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এলাকায় জমির কারবার নিয়ে দলের একাংশকে কড়া বার্তা দিলেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার দুপুরে সমরনগরে তৃণমূলের ডাবগ্রাম-১ অঞ্চল সম্মেলন হয়। সভামঞ্চ থেকে দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশে গৌতমবাবু জানান, জমির কারবারে একদল নেতানেত্রীর নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়। এ ব্যাপারে কাউকে রেয়াত করা হবে না। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে এ সবের সঙ্গে যুক্ত থাকি না। কাউকে যুক্ত হতে দেখলে সব সময় বাধা দেব। এটা দলের সিদ্ধান্ত। জমির কারবারের টাকায় পার্টি চলে না। জমি সরকারি সম্পত্তি। রাজ্য ও দেশের সম্পদ। প্রয়োজনে আমরা তা বিলিয়ে দেব।’’

Advertisement

এ দিন ফুলবাড়ি-২ অঞ্চল সম্মেলন ছিল। সেখানে এলাকার উন্নয়নের খতিয়ান মানুষের মধ্যে তুলে ধরার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বিভিন্ন সভা থেকে রাজ্যের সর্বত্র একই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। রাজ্যের জেলাগুলির সঙ্গে জলপাইগুড়িতেও ভোট হবে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার মধ্যে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। গত এক বছর ধরে ফুলবাড়ি-১ এবং ডাবগ্রামে জমি নিয়ে একাধিক গোলমালের ঘটনা সামনে এসেছে। উত্তরকন্যার পিছনের এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। এক বুথ সভাপতি কয়েক মাস আগে ছুরিকাহত পর্যন্ত হয়েছেন। তেমনিই, ডাবগ্রামের তৃণমূলের প্রাক্তন নেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায় জমি কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দলে ছেড়েছেন। একটি জমি দখল রুখতে গিয়ে তিনি আক্রান্ত হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ ছিল।

Advertisement

একাধিকবার ফুলবাড়িতে দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসে সতর্ক করে দিয়েছেন দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতমবাবু। তারপরেও বিভিন্ন স্তর থেকে তাঁর কাছে বারবার অভিযোগ পৌঁছানোয় শেষ পর্যন্ত তিনি মঞ্চ থেকেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে নেতাদের অনেকেই মনে করছেন। তাঁরা জানান, গোটা রাজগঞ্জ ব্লকেই জমির কারবারের রমরমা চলছে। এতে অনেক সময় দলের স্থানীয় নেতাদের নাম জড়াচ্ছে। কর্মীদের কেউ কেউ এই কারবার করার জন্যই দলে নাম লিখিয়ে রেখেছেন। একই জমি বারবার বিক্রি, সরকারি খাস জমি দখল করে বিক্রি, বাইরে থেকে কেউ জমি কিনতে এলে তোলাবাজির মত অভিযোগও সামনে এসেছে। নেতারা অনেকেই ব্লকের বিভিন্ন অংশে জমি কিনে ফেলেছেন।

গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আমি অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করে দিই। দলীয় নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন