পাগলাঝোরায় ধস নেমে বন্ধ টয় ট্রেন

রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ধস পড়া পুরোপুরি বন্ধ না হলে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করা যাবে না। নতুন করে বৃষ্টিতে যদি আবার ধস না নামে, তবে লাইন মেরামতির কাজ করতে কমপক্ষে দু’দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেলের কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০৩:০৫
Share:

বিপর্যয়: পাগলাঝোরায় ধসের ঘটনা ঘটে বুধবারেই। নিজস্ব চিত্র

শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাগলাঝোড়ায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে গেল টয় ট্রেন। বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই ধস নামে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের (ডিএইচআর) অধিকর্তা এম কে নার্জারি বলেন, ‘‘তিনধারিয়া এবং মহানদীর স্টেশনের মাঝখানে পাথর, মাটি-সহ ধস নেমেছে। সেগুলি সরানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে পরিষেবা চালু হতে সময় লাগবে।’’

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, প্রায় ৪০ ফুট জুড়ে ধসের বড় বড় পাথর এসে পড়ে লাইন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই সময় কোনও ট্রেন সেখানে ছিল। তবে দুপুরের পরে সেখানে আরও কিছু পাথর খসে পড়তে থাকে লাইনের উপর। তাই রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ধস পড়া পুরোপুরি বন্ধ না হলে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করা যাবে না। নতুন করে বৃষ্টিতে যদি আবার ধস না নামে, তবে লাইন মেরামতির কাজ করতে কমপক্ষে দু’দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেলের কর্তারা।

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জয়শী দাসগুপ্ত জানান, পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের কর্তাদের বলা হয়েছে, তারা কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘খুব বড় ঘটনা নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় লোহার জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত পাথর মাটি সারিয়ে তোলা যাবে বলে আশা করছি।’’

Advertisement

এ দিন ঘটনার পরেই এলাকায় যান রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। ন্যারো গেজ লাইনের উপর এসে পড়া স্তুপাকৃতি পাথর, মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তিন দিন আগেও ওই এলাকায় অন্য একটি জায়গায় ধস নেমেছিল। কিন্তু তা বুধবারের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। তাই লাইন পরিষ্কার করে পরিষেবা চালু করতে সময় লাগেনি। এদিনের ধসের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। লাইনের উপর এসে পড়া বিক্ষিপ্ত পাথর সরানোর পরে লাইন সমীক্ষার কাজ করবে রেল। তারপর নিরাপদ বুঝলে ট্রেন চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। পাগলাঝোরা এবং তিনধারিয়া এলাকা এমনিতেই বরবার ধসপ্রবণ।

এর আগেও বেশ কয়েকবার ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল লাইন। তার জেরে পরিষেবা বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। ৫৫ জন জাতীয় সড়কও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টির ভরা মরসুমের পাহাড়েও বৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরেই ধস নেমেছে এলাকায়। রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ভারী বৃষ্টি বা লাগাতার বৃষ্টি হলে কয়েক দিন পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা করেছেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন