আলুর ট্রাকে যানজট, বিপর্যস্ত জাতীয় সড়ক

এক দিন-দু দিন করে দু’সপ্তাহের বেশি কেটে গিয়েছে। জাতীয় সড়কের একপাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আলু বোঝাই ট্রাকের লাইন সরেনি, স্বাভাবিক হয়নি জাতীয় সড়কে যান চলাচলও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৬ ০২:৪৭
Share:

এক দিন-দু দিন করে দু’সপ্তাহের বেশি কেটে গিয়েছে। জাতীয় সড়কের একপাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আলু বোঝাই ট্রাকের লাইন সরেনি, স্বাভাবিক হয়নি জাতীয় সড়কে যান চলাচলও। মঙ্গলবার সকালেও ৩১ডি জাতীয় সড়কে যানজটের জেরে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, পুলিশ কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না। যানজট নিয়ে প্রতিদিনই ভুরি ভুরি অভিযোগ শুনতে হচ্ছে রাজগঞ্জ এবং জলপাইগুড়ি থানার পুলিশকে। যানজটে তিতিবিরক্ত এক পুলিশ কর্তার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘ভোটের সময় কমিশনের চাপ সামলাতেই দিন চলে যাচ্ছে। রাস্তায় দাঁড়াব কখন?’’

Advertisement

জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকা থেকেই ৩১ ডি জাতীয় সড়ক থেকে যানজটের শুরু। জলপাইগুড়ি লাগোয়া পাঙ্গা, চৌরঙ্গি হলদিবাড়ি মোড়, রানীনগরে বেশ কয়েকটি হিমঘর রয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই হিমঘরগুলিতে আলু রাখার কাজ শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে শুরু করে পিকআপ ভ্যানে আলু নিয়ে আসা হচ্ছে হিমঘরে। একবারে সব আলু ঢোকানো সম্ভব নয়। হিমঘরের গেটের সামনে থেকে শুরু হয় লাইন। সেই লাইনই ক্রমশ বড় হতে হতে জাতীয় সড়কের চলে এসেছে। জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি বাসগুলিও ঘুরপথে যাতায়াত করছে। জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া দাবি করেছেন, ‘‘জাতীয় সড়কের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট সামলাতে পদক্ষেপ চলছে।’’

অভিযোগ, দু’সপ্তাহের বেশিদিন ধরে জাতীয় সড়কে যানজট চলছে এমন পরিস্থিতি আগে তৈরি হয়নি। প্রতিবছরই মরসুমের এই সময়ে আলু হিমঘরে ঢোকাতে হয়। ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে বোঝাই করেই কৃষকরা আলু হিমঘরে নিয়ে আসেন। এবার কেন এই পরিস্থিতি?

Advertisement

জলপাইগুড়ির এক পুলিশ কর্তার কথায়, পুরোনো মামলায় অপরাধীদের গ্রেফতার করতে কমিশন বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিদিন কমিশনকে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। সে কারণে সকাল থেকে অভিযুক্তদের খুঁজতে তল্লাশি-হানা চলে। সেই সঙ্গে কমিশনের নির্দেশেগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় ‘নাকা’ তল্লাশি চলছে। সেই নাকা-তে পুলিশ কর্তাদের হাজির থাকতেও কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করানো। এরপরে বিকেল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ শুরু হওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এলাকায় টহল হয়। ওই পুলিশ কর্তার প্রশ্ন, ‘‘সব বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হচ্ছে। পান থেকে চুন খসলেই ধমক দিচ্ছে কমিশন।’’ ওই অফিসারের প্রশ্ন, ‘‘কমিশনের ধমক খাব না, যানজট সামলাবো?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement