রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইঙ্গিত দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রায়গঞ্জে পুরভোটের তৎপরতা শুরু হয়ে গেল। মঙ্গলবার এক দিকে যেমন কংগ্রেস জানিয়ে দিল তারা বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়াই করবে। আর তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ১৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল তৃণমূল।
উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, যে সব ওয়ার্ডে একজন করে প্রার্থীর নাম প্রস্তাবিত হয়েছিল, সেই সব ওয়ার্ডেরই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি যে ১০টি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থীর নামের প্রস্তাব এসেছিল, আগামী ১৭ এপ্রিল কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে সেই সব ওয়ার্ডের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে।
১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী নয়ন দাস, ২ নম্বরে সঞ্চিতা দাস, ৩ নম্বরে সাথী মুখোপাধ্যায়, ৫ নম্বরে সাধনকুমার বর্মন, ৬ নম্বরে আরতি চহ্বান, ৮ নম্বরে বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ৯ নম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ১০ নম্বরে রতন মজুমদার, ১২ নম্বরে আরতি মণ্ডল, ১৩ নম্বরে পায়েল মণ্ডল, ১৫ নম্বরে হিমাদ্রী সরকার, ১৬ নম্বরে অরিন্দম সরকার, ২২ নম্বরে তপন দাস, ২৩ নম্বরে তপন নাগ, ২৫ নম্বরে মনোরঞ্জন সরকার, ২৬ নম্বরে অভিজিৎ সাহা এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে লিটন সরকার।
মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জের সার্কিট হাউসে দলীয় বৈঠকের পর শুভেন্দুবাবুর নির্দেশে এই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য। উল্লেখ্য, রায়গঞ্জে ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে।
এ দিন রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সি জানান, শহরের ১৯টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস ও ৮টি ওয়ার্ডে বামফ্রন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। খুব শীঘ্রই দুই দলের তরফে যৌথ ভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। মোটামুটি ভাবে ঠিক হয়েছে, যে আসনগুলিতে কংগ্রেস হেরেছিল, সেগুলোই বামেদের ছাড়া হবে।
দীপা দাবি করেন, পুরসভা নির্বাচনের মুখে রায়গঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূল চাপা সন্ত্রাস শুরু করেছে।
মঙ্গলবার রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে বৈঠকে জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত, দুই সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ, সন্দীপ বিশ্বাস সহ ২৭টি ওয়ার্ডের কংগ্রেস নেতারা হাজির ছিলেন।
অমলবাবুর কটাক্ষ, ‘‘যখনই নির্বাচন আসে, দিল্লি থেকে উড়ে এসে দীপাদেবী তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যা অভিযোগ করেন।’’