সরকারি অনুষ্ঠানের চিঠি বিলি তৃণমূলের, বিতর্ক

সরকারি অনুষ্ঠান। কিন্তু আমন্ত্রণপত্র বিলি করলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার শিলিগুড়ির ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এমনই অভিযোগ উঠেছে। এ দিন সন্ধ্যায় অগ্রসেন ভবনে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) নাগরিক কনভেনশন ছিল। ওই কনভেনশনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান গৌতম দেবের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বও ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৫ ০২:৩৬
Share:

মেলা শুরু, তবু শেষ হয়নি প্রস্তুতি। শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বইমেলায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

সরকারি অনুষ্ঠান। কিন্তু আমন্ত্রণপত্র বিলি করলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার শিলিগুড়ির ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এমনই অভিযোগ উঠেছে। এ দিন সন্ধ্যায় অগ্রসেন ভবনে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) নাগরিক কনভেনশন ছিল। ওই কনভেনশনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান গৌতম দেবের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বও ছিল। এসজেডিএ-এর তরফ থেকে এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ বিশিষ্টজনেদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, এলাকায় সরকারি আমন্ত্রণপত্র দুই ওয়ার্ডের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই বিলি করেছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে বিশিষ্টজনেদের আমন্ত্রণপত্র দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের নেতারাও।

Advertisement

সরকারি আমন্ত্রণপত্র কী ভাবে তৃমমূলের নেতাদের হাতে পৌঁছল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। অভিযোগ, তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশেই সরকারি আধিকারিকরা সব আমন্ত্রণপত্র দলের নেতা-কর্মীদের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষও। এসজেডিএ-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক আর বিমলা বলেন, “কেউ হয়ত আমন্ত্রণপত্র বিলি করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে থাকতে পারেন। তবে এমনটা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে শুরু করে আমন্ত্রণপত্র বিলির মতো যাবতীয় দায়িত্বই সরকারি কর্মীদের উপর থাকে। বেসরকারি কোনও সংস্থা বা ব্যক্তিকে কোনও দায়িত্ব দিলেও, তার জন্য আগে থেকে টেন্ডার অথবা ইওআই করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সে সবের কিছুই মানা হয়নি বলে অভিযোগ। মূলত সাম্প্রতিক কালে এসজেডিএ-এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতেই এ দিন নাগরিক কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। আমন্ত্রণপত্রে উন্নয়ন নিয়ে বাসিন্দাদের মতামত দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছিল। গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই এসজেডিএ শহরের বিভিন্ন এলাকায় নাগরিক কনভেনশন শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল পুরভোটের আগে সরকারি কনভেনশনের আড়ালে দলের প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

যদিও, মন্ত্রী গৌতমবাবু বিরোধীদের অভিযোগকেই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব বলে দাবি করেছেন। গৌতমবাবু বলেন, “বর্তমান রাজ্য সরকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়েই উন্নয়নের কাজ করছে। সে কারণে বাসিন্দাদের নিয়ে কনভেনশন করছি। উন্নয়নের সব তথ্য বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরলে তাদের জনভিত্তি আরও সরে যাবে বলে আশঙ্কা করেই বিরোধী দলগুলি ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement