বেতন নিয়ে ফের সমস্যায় ট্রাস্ট-কর্মীরা

ফের বেতন সমস্যায় কোচবিহারের দেবোত্তর ট্রাষ্ট বোর্ডের কর্মীরা। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরোলেও বোর্ডের কর্মীদের জুন মাসের বেতন হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন দেড় শতাধিক কর্মী ও তাদের পরিবারের লোকজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৬ ০১:৪০
Share:

ফের বেতন সমস্যায় কোচবিহারের দেবোত্তর ট্রাষ্ট বোর্ডের কর্মীরা। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরোলেও বোর্ডের কর্মীদের জুন মাসের বেতন হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন দেড় শতাধিক কর্মী ও তাদের পরিবারের লোকজন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। তবে আন্দোলন শুরু হলেও বোর্ডের আওতাধীন কোন মন্দিরের দৈনন্দিন পুজোয় তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

দেবোত্তর কর্মচারি সমিতির সভাপতি হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “কয়েক মাস থেকে মাঝেমধ্যেই সময়মতো বেতন হচ্ছে না। এবার জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরোলেও জুনের বেতন হয়নি। প্রশাসন শীঘ্রই বেতন মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে। তাই আর কয়েকদিন অপেক্ষা করব। তারপরেও বেতন না হলে নিত্যপুজো স্বাভাবিক রেখে আবার আন্দোলনের কথা ভাবতে হবে।”

কর্মীদের অভিযোগ, গত ডিসেম্বর মাস থেকেই বেতন নিয়ে সমস্যা চলছে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল মাসের বেতন সময়মতোও মেলেনি। এক বার দু’মাসের বেতন একসঙ্গে মেটানো হয়। এ নিয়ে আগেও আন্দোলন করা হয়েছে। সে সময় প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বেতন মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক তথা দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য অরুন্ধতী দে বলেন, “পর্যটন দফতরের কাছে এর জন্য আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত বেতন মিটিয়ে দেওয়া যাবে বলে আশা করছি।”

Advertisement

দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ট্রাষ্ট বোর্ডের আওতায় কোচবিহার মদনমোহন মন্দির, রাজমাতা মন্দির, ডাঙ্গোরাই মন্দির, বাণেশ্বর শিবমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, গোসানামারি মন্দির সহ ২২ টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভিন রাজ্যেও একাধিক মন্দির রয়েছে। সবমিলিয়ে স্থায়ী ৫৮ জন ও অস্থায়ী ৯৬ জন কর্মী রয়েছেন। ফি মাসে তাদের বেতন বাবদ ১৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য পর্যটন দফতর এজন্য আর্থিক বরাদ্দ দেয়। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাস থেকে ওই বরাদ্দ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় নিয়মিত বেতন মেটাতে সমস্যায় পড়ছেন ট্রাষ্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন