বিয়ের আট বছর পরেও সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার পিয়াসবাড়ি গ্রামে। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই বধূ চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সোমবার সকালে বধূর পরিবারের লোকেরা তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা থানায়। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার নাম বিজলি মন্ডল। তাঁর স্বামীর অখিল মন্ডল শ্রমিকের কাজ করেন। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজারের মহেশপুরের বাসিন্দা গণেশ রাউতের মেয়ে বিজলির সঙ্গে বছর আটেক আগে বিয়ে হয় অখিল মন্ডলের। অখিল ইংরেজবাজার থানার মহদিপুর গ্রামপঞ্চায়েতের পিয়াসবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকাতেই শ্রমিকের কাজ করেন। পরিবারের লোকেদের দাবি, বিয়ের দুই বছর পর থেকেই সন্তান না হওয়ায় বিজলির উপর মানসিক ও শারীরিক ভাবে অত্যাচার করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনকি তাঁকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। এদিন রাতে বিজলি ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় স্বামী অখিল মন্ডল তাঁকে মারধর করে এবং গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
পরিজনের অভিযোগ, অখিলকে সাহায্য করে তাঁর মা লক্ষ্মী ও বোন সুনতি মন্ডল। ঘটনায় বিজলির চিৎকারে পড়শিরা ছুটে গেলে অভিযুক্তেরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ওই বধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ অংশই পুড়ে গিয়েছে।
বিজলিদেবীর বাবা গণেশবাবু বলেন, ‘‘আমার মেয়ের সন্তান না হওয়ায় তাকে মারধর করা হত। এ দিন গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই যারা এই কাণ্ড করেছে, পুলিশ তাদের ধরে শাস্তি দিক।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া রয়েছে অখিল ও তার পরিবার। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।