পাঁচিলে ধুন্ধুমার

জনতা মারমুখী হয়ে উঠছে দেখে জওয়ানরা পালিয়ে যান। পুলিশ সূত্রেই খবর, নিউ জলপাইগুড়ি আরপিএফের আইসি বিপ্লব মজুমদার এবং কমান্ড্যান্ট পি কে সিংহ সেখানে হাজির ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০২:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

রেলের জমি দখলের অভিযোগে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তুলকালাম বাঁধল এনজেপি এলাকায়। শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ এনজেপি-র সাউথ কলোনি এলাকার ঘটনা। এলাকার একটি শিব মন্দিরে গ্রিল, লোহার খুঁটি দিয়ে সীমানা পাঁচিল দেওয়ার কাজ হচ্ছিল। অভিযোগ, তা রেলের জমিতে চলে এসেছে বলে আরপিএফ জওয়ানরা তুলে দেয়। তাতেই খেপে যান এলাকার বাসিন্দারা। মুহূর্তে এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা জড়ো হয়ে আরপিএফের বিরুদ্ধে সরব হন।

Advertisement

জনতা মারমুখী হয়ে উঠছে দেখে জওয়ানরা পালিয়ে যান। পুলিশ সূত্রেই খবর, নিউ জলপাইগুড়ি আরপিএফের আইসি বিপ্লব মজুমদার এবং কমান্ড্যান্ট পি কে সিংহ সেখানে হাজির ছিলেন। জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে তাঁদের স্থানীয় সাউথ কলোনি স্পোর্টিং ক্লাবের ঘরে নিয়ে যান কয়েক জন।

বাইরে জড়ো হয়ে বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে আরপিএফের ওই দুই আধিকারিক ক্লাবঘরেই আটকে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। এলাকার প্রধান, জয়েন্ট বিডিও এবং এক জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা, প্রধানকে নিয়ে আপিএফের দুই আধিকারিকের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করেন। আরপিএফের আধিকারিকেরা জানান, কোনও রকম উচ্ছেদ করতে আসেননি। বাসিন্দাদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই বলে আরপিএফের আইসি-কে মুচলেকাও দিতে হয়। তার পরে বেলা তিনটে নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আরপিএফের কাটিহার ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার মহম্মদ সাকিব বলেন, ‘‘বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তবে জায়গা তো রেলেরই। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তা দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা জানান, পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনও অভিযোগ থাকলে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরপিএফের তরফে এনজেপি থানায় এ দিনের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। এলাকার একটি পুজো কমিটির তরফে পাল্টা অভিযোগও জানানো হয়েছে।

ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপন সিংহ বলেন, ‘‘স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে না জানিয়ে আরপিএফ এ ভাবে উচ্ছেদ করতে পারে না। যে জওয়ানরা মন্দিরের নির্মীয়মান সীমানা পাঁচিলের খুঁটি সরিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।’’

মনোজ সহানি, পিন্টু প্রসাদ, নিতা রাউতের মতো এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেলের জায়গা হলেও ১৯৬৭ সাল থেকে এই এলাকায় মন্দিরটি রয়েছে। তার সীমানা-পাঁচিল এ ভাবে সরানোর চেষ্টা করা হবে কেন, সেটাই স্পষ্ট নয়। আরপিএফের লোকজন ইচ্ছাকৃত ভাবে গোলমাল পাকাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন