West Bengal Municipal Election 2020

কৃষ্ণের ওয়ার্ড নিয়ে টানাপড়েন 

দলীয় সূত্রের খবর, গত সোমবার পুরসভায় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাই বৈঠক নিয়ে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ক্ষুদ্ধ।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি

গত সপ্তাহেই বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলরকে প্রার্থী করার দাবি নিয়ে মন্ত্রী ও জেলা সভাপতির বাড়িতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের একদল বাসিন্দা। প্রার্থী বদলের আশঙ্কা করে তাঁরা ওই দুই নেতার কাছে গেলেও প্রক্রিয়া ঠিক ছিল না বলে দলে আলোচনা শুরু হয়েছে। পুরভোট যত এগিয়ে আসছে ততই প্রার্থী হতে চেয়ে শাসক দলের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, গত সোমবার পুরসভায় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাই বৈঠক নিয়ে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ক্ষুদ্ধ।

Advertisement

শহরের ওই ওয়ার্ডের ২০ বছরের কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল গত বছর মারা গিয়েছেন। তিনি জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতাও ছিলেন। সংরক্ষণের নিয়মে এ বার ওই আসনটি মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। সেখানে প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। গতকাল রাতে প্রার্থী বাছতে ওয়ার্ড কমিটির বৈঠকে ছড়ায় উত্তেজনা। দলের কর্মীদের দাবি, আশপাশের ওয়ার্ড থেকে লোক এনে একদল চাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু করে। তাতে উত্তেজনা ছড়ায়। শেষে পুরনো নেতাদের মধ্যস্থতায় চারটি নাম আপাতত ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসাবে ঠিক হয়েছে। কর্মীদের একটা অংশ চাইলেও কৃষ্ণর স্ত্রীর রূপা পালের নাম রাখা হয়নি। তা নিয়েও দলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাই পুরোটা জেলা নেতৃত্বের উপর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়ার্ড তৃণমূল কমিটি।

প্রার্থী হওয়া নিয়ে কয়েকটি ওয়ার্ডে যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে তা মেনে নিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, ‘‘শাসক দলের প্রার্থী তো অনেকেই হতে চান। একাধিক নাম উঠে আসছে। আলোচনায় মিটে যাবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্ব নেবেন।’’

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে আপাতত ঠিক হওয়া চারটি নামের মধ্যে রয়েছেন, দলের প্রাক্তন নেতা প্রয়াত প্রশান্ত নন্দীর স্ত্রী উষা নন্দী, মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন সম্পাদক মধুমিতা ভট্টাচার্য। এ ছাড়া কৃষ্ণর ভাইয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী পালের নাম উঠে এসেছে। বৈঠক চলাকালীন একসময় কৃষ্ণর স্ত্রী শান্তা দত্ত বলে স্থানীয় এক নেত্রীর নাম প্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব করেন।

বৈঠকে ডাক পাওয়া নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দলের একটি বৈঠক হয়। ২ মার্চ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুরভোটের কর্মশালা হবে। তারই প্রস্তুতি হিসাবে বৈঠকটি ছিল। কলকাতা থেকে মেসেজ এবং কার্ড যাঁদের নামে পাঠানো হয়েছে, তাঁরাই যেতে পারবেন বলে বৈঠকে জানানো হয়। এর পরেই দলের একাংশ জানান, দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা দল করছেন তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে প্রশান্ত কিশোরের টিম গেলে তাঁদেরও বিষয়টি দেখতে বলা হয়। জেলা সভাপতি অবশ্য বলেছেন, ‘‘ সমস্যা হয়েছে। মিটে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন