‘অপহরণে’ মার দুই যুবককে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে বালুপুর স্ট্যান্ডে দুই বাইক আরোহী এক কিশোরকে অপহরণ করে নিয়ে এসে অন্য একটি বাইকে তুলে দেয় বলে অভিযোগ। কিশোরকে নিয়ে ওই বাইকটি চলে গেলেও অপহরণকারী সন্দেহে আগের দুই বাইক আরোহীকে আটকে শুরু হয় গণপ্রহার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০২:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক কিশোরকে অপহরণের অভিযোগ ঘিরে শনিবার দুপুরে তেতে উঠল মালদহের রতুয়ার বালুপুর এলাকা। বকেয়া না পেয়ে এক ঠিকাদারের কিশোর ছেলেকে দুই যুবক অপহরণ করেছে বলে অভিযোগে তাদের বেধড়ক মারধর করেন বাসিন্দারা। তাদের বাঁচাতে গিয়ে বাসিন্দাদের মারে জখম হন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীও। উদ্ধার করতে গেলে হেনস্থা হতে হয় পুলিশকেও। পরে প্রহৃতদের উদ্ধার করে রতুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টাকাপয়সার লেনদেনকে ঘিরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ।

Advertisement

রতুয়ার আইসি পোলক মল্লিক বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে বালুপুর স্ট্যান্ডে দুই বাইক আরোহী এক কিশোরকে অপহরণ করে নিয়ে এসে অন্য একটি বাইকে তুলে দেয় বলে অভিযোগ। কিশোরকে নিয়ে ওই বাইকটি চলে গেলেও অপহরণকারী সন্দেহে আগের দুই বাইক আরোহীকে আটকে শুরু হয় গণপ্রহার। ঘটনার কথা জেনে সেখানে যান ভাদো গ্রাম প়ঞ্চায়েতের আরএসপি সদস্যার স্বামী হাফিজুর রহমান। তাকেও আটকে শুরু হয় গণপ্রহার। পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে। বাসিন্দাদের একাংশ গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, অপহৃত কিশোর ও প্রহৃতদের বাড়ি ভাদো এলাকার রামপুরে। ওই কিশোরের বাবা জামিরুল হক শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার। মাস ছয়েক আগে বিলাইমারিতে কাজ করলেও বকেয়া পাওনা মেটাননি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে সালিশিও হয়। বিলাইমারির ওই সালিশিতে প্রহৃতরাও ছিলেন। প্রতিবেশীর বকেয়া পাওয়া মেটানোর বিষয়ে তারা দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সময়মতো জামিরুল টাকা না মেটানোয় তাকে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করতে এ দিন দুই যুবক তার ছেলেকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। প্রহৃত হাফিজুরের অবশ্য দাবি, ‘‘কি হয়েছে তা আমিও জানি না। গ্রামের দুই যুবককে মারধর করা হচ্ছে জেনে ওখানে গিয়েছিলাম।’’ অপহৃত কিশোরকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement