সাফারি পার্কের অন্য অংশে ঠাঁই হয়েছে জেনিফারের। নিজস্ব চিত্র
ঠিক হয়েছিল, দু’জনকে একসঙ্গে রাখা হবে। কিন্তু প্রবীণ জেনিফারকে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না তরুণ ধ্রুব। একবার হাতের কাছে পেয়ে আঁচড়ে কামড়ে রক্তারক্তি করে দিয়েছিল। তাই আপাতত শুধু ধ্রুবকেই আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি পার্কের এনক্লোজারে দেখা যাবে।
সাফারি পার্কের ডিরেক্টর অরুণ মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘‘দু’জনের বনিবনা হচ্ছে না। একসঙ্গে ছেড়ে দেখা গিয়েছে ছোটটি বড়টিকে আক্রমণ করছে। এতই রক্তারক্তি হয়েছিল যে, বড়টিকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করতে হয়েছে। তাই এখন একটা ভালুক দিয়ে সাফারি চালু হচ্ছে।’’
কিন্তু জেনিফারের উপরে ধ্রুবর এত রাগ কেন? গত নভেম্বরে ভালুক দু’টিকে দার্জিলিঙের পদ্মজা নাইডু পার্ক থেকে আনা হয়। হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার জেনিফার এবং ধ্রুব একসঙ্গেই থাকত। বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে দাবি, ১৭ বছরের জেনিফার নাকি দলে ভারী হলে তরুণ ধ্রুবকে সহবত শেখাতে চড়চাপাটি মারত। দলবল দেখে তখন ধ্রুব কার্যত মুখ বুজেই সে সব শাসন সহ্য করেছে। কিন্তু বেঙ্গল সাফারি পার্কে এসে জেনিফারকে একা পেয়ে আর সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি।
সাফারির কর্মীদের কথায়, দুটি বুনোকে একসঙ্গে রাখা হলে অনেক সময়ে এমন সমস্যা হয়। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার শীলা ও স্নেহাশিসের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা হয়েছিল। আপাতত এর কোনও আশু সমাধান নেই সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের হাতে।