অসুস্থ: হাসপাতালে সনকা। নিজস্ব চিত্র
এর আগে রায়গঞ্জের বাসিন্দা এক ছাত্রী ভর্তি হয়েছিলেন জ্বর নিয়ে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর দেহে ডেঙ্গির উপসর্গ মিলেছে। এ বারে শহর ঘেঁষা কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীতলা এলাকার বাসিন্দা, ৭৬ বছরের সনকা দাস ও শহরের উপকণ্ঠে কাচিমোয়া এলাকার বাসিন্দা আজিমা খাতুনেরও ডেঙ্গি উপসর্গ মিলেছে বলে দাবি পরিবারের। তাঁদের আরও দাবি, হাসপাতাল সূত্রেই তাঁদের এ কথা জানানো হয়েছে। যদিও রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার গৌতম মণ্ডল কিছুই বলতে চাননি।
রায়গঞ্জ শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মেসের বাসিন্দা এক ছাত্রী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার পর ফের শহরের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ রয়েছে সন্দেহে উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। তাঁদের অনেকেরই প্রশ্ন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর কেন এই নিয়ে এত লুকোছাপা করছে? তার থেকে তারা বরং ডেঙ্গি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করুক।
হাসপাতালের একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাত্রীটির ডেঙ্গি সংক্রমণের কথা জানাজানি হওয়ার পরে শো কজ করা হয় সুপারকে। তাই এখন সকলেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সুপার গৌতমবাবু বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য নয়।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘‘ডেঙ্গি হয়েছে বলে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই।’’
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ফিভার ওয়ার্ডে ভর্তি সনকাদেবীর জামাই গৌরসুন্দর মজুমদার বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকেই জানানো হয়েছে, শাশুড়ির ডেঙ্গি হয়েছে। হাসপাতাল থেকে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টও দেখেছি।’’ শুক্রবার সকালে সনকাদেবীকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
আজিমা খাতুনকে চারদিন আগে হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি করান পরিবারের লোকেরা। তার এক দিন আগে তিনি দিল্লি থেকে ফেরেন। দিল্লিতে জুতোর ব্যবসা করতেন। তাঁর স্বামী সালিম আলি বলেন, ‘‘ডেঙ্গি হয়েছে বলেই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে জোর দিয়ে দু’দিন আগেই প্রশাসনের তরফে বৈঠক ডেকে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগ, জেলার পুরসভাগুলোকে জানানো হয়েছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হচ্ছে। তবে শহরের পাশাপাশি পঞ্চায়েত এলাকাগুলোতেও নিয়মিত স্প্রে করা, ধোঁয়া ছড়ানো, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।