এনজেপিতে গন্ডগোল, জখম পর্যটক

চালকদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় আরপিএফের স্পেশাল ফোর্সের ১০ জওয়ান বেধড়ক লাঠি চালিয়েছেন। ১০ জন আহত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫৮
Share:

নো-পার্কিং এলাকায় গাড়ি দাঁড় করানোকে কেন্দ্র রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের (আরপিএফ) সঙ্গে কিছু গাড়িচালকের মারপিটকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল। শুক্রবার সকালে এবং দুপুরে এনজেপি স্টেশনের সামনের চত্বরের ঘটনা। গোলমালের সময় কয়েকজন যাত্রীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। লাঠিচার্জের মাঝে পড়ে দু’জন পর্যটক আঘাত পান। আতঙ্কে তাঁরা ছাড়াও বহু যাত্রী মালপত্র নিয়ে দৌড়ে এলাকা ছেড়ে পালান। কমিশনারেটের এনজেপি থানা, রেল পুলিশের (জিআরপি) বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

চালকদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় আরপিএফের স্পেশাল ফোর্সের ১০ জওয়ান বেধড়ক লাঠি চালিয়েছেন। ১০ জন আহত হয়েছেন। জওয়ানদের পাল্টা দাবি, চালকেরাই লাঠি, লোহার রড নিয়ে চড়াও হন। বৃষ্টির মতো ঢিল ছোড়া হয়েছে। এক জওয়ানের মাথা ফেটেছে। দুই পক্ষই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘অভিযোগ দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

রেল সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত প্রথম সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। একটি ছোট গাড়ির চালক স্টেশন চত্বরে নো-পার্কিং এলাকায় গাড়ি দাঁড় করান বলে অভিযোগ। আরপিএফের স্পেশাল ফোর্সের এক জওয়ান তাঁকে বারণ করেন। বচসার সময় জওয়ানদের ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। আরপিএফ, জিআরপির অফিসারেরা এলে তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়। চালকদের অভিযোগ, জওয়ানেরা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যান। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ১০ জন জওয়ান সাদা পোশাকে লাঠি হাতে এলাকায় ঢোকেন। কোনও কথা ছাড়াই লাঠি চালাতে শুরু করেন।

Advertisement

কমল দাস, ভীম রায়, সুবল সরকারের মতো চালকেরা আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে সেই সময় আরপিএফের অফিসারেরা থাকলেও জওয়ানেরা কারও কথা শোনেননি বলে অভিযোগ। চালক হিমেল সরকার জানান, ‘‘কলকাতার দু’জন পর্যটক গাড়িতে উঠছিলেন। আমাকে তো বিনা কারণে মারলই। দুই যাত্রীর পায়েও লাঠি লাগে। তাঁরা গাড়ি ছেড়ে পাললেন।’’ আরেক চালক রবি ইসলাম বলেন, ‘‘আরপিএফ স্পেশাল ফোর্স যাকে পেরেছে তাকে মেরেছে।’’ কিছু ক্ষণের মধ্যে চালকেরাও একজোট হয়ে যান। ওই জওয়ানদের পাল্টা মার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফাটে সুদীপ কুমার নামের এক জওয়ানের। তাঁর দাবি, ‘‘চুল কেটে ব্যারাকে ফিরছিলাম। রডের ঘায়ে মাথা ফেটে গিয়েছে।’’

স্টেশনের চালকদের অধিকাংশই তৃণমূলের চালক সংগঠনের সদস্য। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আইএনটিটিইউসি সভাপতি প্রজেনজিৎ রায় বলেন, ‘‘একটি গাড়ি নিয়ে সমস্যা হল। আলোচনায় তা মিটেও গেল। তার পরে এমন ভাবে চালক, যাত্রীদের মারধর করা হল তা ভাবা যায় না।’’ আরপিএফের এনজেপি’র আইসি বিপ্লব মজুমদার জানান, তাঁরাও পুলিশকে অভিযোগ করেছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন