পাহারা: শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরে মোতায়েন পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
সদ্যোজাতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃত ওই শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত আয়ার হাত থেকে পড়েই ওই শিশুটি মারা গিয়েছে। এ ব্যাপারে মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পরেই শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফে মেডিক্যাল কলেজের সুপার কৌশিক সমাজদারের কাছেও গাফিলতির জন্য মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সুপার বলেন, ‘‘কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক ভাবে বলা সম্ভব হবে। তদন্তের স্বার্থে চিকিৎসকদের একটা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’’
গত সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন ফাঁসিদেওয়া থানার হাওদাভিটা গ্রামের বাসিন্দা কল্যাণী রায়। মঙ্গলবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী কল্যাণী দেবী মৃত শিশু প্রসব করেছেন। যদিও কল্যাণীদেবীর পরিবারের দাবি, প্রসবের আগে আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী শিশুটি সুস্থ অবস্থাতেই ছিল।
কল্যাণীদেবীর কথায়, ‘‘আমার কাছে যখন মেয়েকে নিয়ে এল, তখনও ও কাঁদছিল। পরে আমাকে জানানো হয়, সে মারা গিয়েছে!’’ কল্যাণীদেবীর স্বামী প্রতাপও বলেন, ‘‘শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে, কারও হাত থেকে পড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের নার্স আমাকে সকাল ৭টায় শিশু মৃত্যুর খবর দেয়। কিন্তু ওদের বক্তব্য, সে মারা গিয়েছে ভোর সাড়ে চারটেয়। তা হলে আমাকে এত দেরিতে জানানো হল কেন?’’
এ দিন বিষয়টি সামনে আসতেই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনেরা। তাঁরা হাসপাতালের নার্স, আয়াদের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা দোষীদের শাস্তির দাবি তোলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটা মিটিয়ে নেওয়া দরকার। কিন্তু তার আগেই গোলমালের খবর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজের আউট পোস্ট থেকে পুলিশ চলে আসে।