ব্যবহার করা কিট পড়ে, বাড়ছে ভয়

শুধু পিপিই কিট-ই নয়। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেকে তাঁদের ব্যবহার করা মাস্কও যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ০২:০৭
Share:

ছড়িয়ে ছিটিয়ে বর্জ্য। নিজস্ব চিত্র

অন্য জেলা থেকে লালারসের নমুনা জমা করতে আসছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ল্যাবরেটরিতে। অভিযোগ, ফেরার সময় তাঁদের একাংশ পরে থাকা পিপিই কিট খুলে ফেলে দিচ্ছে ক্যাম্পাসের মধ্যেই। মেডিক্যালের স্বাস্থ্যকর্মীদেরও অনেকে একই ভাবে পিপিই কিট ফেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ।
শুধু পিপিই কিট-ই নয়। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেকে তাঁদের ব্যবহার করা মাস্কও যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। হাসপাতালের লোকজনই এই অভিযোগ তুলেছেন। এর ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে হাসপাতাল চত্বরে। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছে, এমন হলে হাসপাতাল চত্বরই সংক্রমণের আঁতুড়ঘর হয়ে যাবে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব জানান, বিষয়টি তাঁরও নজরে এসেছে। যাঁরা অন্য জেলা থেকে নমুনা নিয়ে আসছেন, তাঁদের পিপিই কিট ফেলার জন্য ভাইরোলজি ল্যাবরেটরির কাছে নির্দিষ্ট ভ্যাট থাকছে। সেটা জানানোও হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘খোলা জায়গায় এগুলি ফেলা অত্যন্ত বিপজ্জনক। জেলাগুলিকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হবে।’’ সেই সঙ্গে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্সদেরও সচেতন হতে বলা হবে।
ইতিমধ্যেই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে অন্তত ২২ জন করোনা আক্রান্ত। সংক্রমণ কী ভাবে ছড়াচ্ছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তার মধ্যে ক্যাম্পাসে পিপিই কিট, মাস্ক পড়ে থাকার ঘটনায় অনেকেই উদ্বিগ্ন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ডিন তথা আইএমএ-র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল শাখার সভাপতি সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘যাঁরা বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নেন, তাঁদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলেছেন, যাতে দ্রুত এগুলি সাফ করা হয়। তবে যাঁরা নমুনা নিয়ে আসছেন, তাঁদের পিপিই কিট ফেলা আটকাতে হবে।’’
চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, হাসপাতালে অন্য রোগীরা রয়েছেন। আছে প্রসূতি এবং শিশু বিভাগও। সকলের পক্ষেই বিষয়টি বিপজ্জনক। কয়েক জন চিকিৎসক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেনও। তাঁরা এ বারে প্রশ্ন তুলছেন, তার পরেও কেন তা নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে? দ্রুত বিষয়টি দেখার জন্যও বলেছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন