পাহাড়ে টানা অশান্তি, বন্ধের প্রভাব পড়ল কোচবিহারের পাইকারি আনাজ বাজারেও। ব্যবসায়ীদের একাংশই জানাচ্ছেন, জেলার বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে আনাজের বরাত গড়ে প্রায় চল্লিশ শতাংশ কমে গিয়েছে।
এর জেরে স্থানীয় বাজারে হঠাৎ জোগান বেড়ে গিয়েছে, কমে গিয়েছে দাম। এমন পরিস্থিতি চললে বাজারদর আরও নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সমস্যা মেটাতে উদ্বৃত্ত আনাজ দক্ষিণবঙ্গ, বা রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি ‘সুফল বাংলা’র স্টলে পাঠানোর দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। জেলাশাসকের কাছেও বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়ে এ দাবি করেছেন তাঁরা। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “বিষয়টি দেখা হবে।”
ব্যবসায়ীরা জানান, কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ির পাইকারি ব্যবসায়ীদের একাংশ পাহাড়ে আনাজ রফতানি করেন। ফোসিনের সদস্য তথা দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “দু’সপ্তাহে প্রায় চল্লিশ শতাংশ চাহিদা কমেছে। ফলে পাইকারি বাজারে দামও অনেকটা নেমেছে।” তাঁর দাবি, ইতিমধ্যে জেলায় প্রায় এক কোটি টাকার ব্যবসা মার খেয়েছে।
সমিতি সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ দিন দিনহাটা কৃষিমেলা বাজারে পটল ৭ টাকা, ঝিঙে ১০ টাকা, আলু ৪ টাকা, ঢেঁড়স ৮ টাকা, বেগুন ১০ টাকা, লঙ্কা ১২-১৮ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কৃষিমেলা ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি মালেকুল রহমান বলেন, “দু’সপ্তাহ আগেও দাম প্রতি কেজিতে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল।”