কাটমানি নিয়ে সংঘর্ষ

বিজেপির অভিযোগ, কাটমানি সহ একাধিক দাবিতে সাধারণ মানুষই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জড়ো হন গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরের সামনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ০০:২৭
Share:

প্রহরা: উছলপুকুরিতে গোলমালের পরে। নিজস্ব চিত্র

কাটমানি বিতর্কে পঞ্চায়েত দফতরে তালা দিয়ে দিল বিজেপি। সেই তালা খোলার জন্য তৃণমূল কর্মীরা গেলে তাঁদের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় পক্ষই ইট, পাথর, তির-ধনুক নিয়ে হামলা চালায়। এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। মেখলিগঞ্জের উছলপুকুরিতে তৃণমূল বিজেপির এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হন।

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ, কাটমানি সহ একাধিক দাবিতে সাধারণ মানুষই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জড়ো হন গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরের সামনে। বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের কর্মীরা তির ধনুক সহ ইট পাথর ও লাঠি নিয়ে হামলা করে। এতে চার বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কাশেম আলি মিয়াঁ, গণেশ বর্মণ, বিধান বর্মণ।

তৃণমূলও পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, তৃণমূলের কর্মীরাই পঞ্চায়েত দফতরে যেতেই বিজেপির কর্মীরা তির ধনুক দিয়ে আক্রমণ করেন। তাতে পাঁচ তৃণমূল কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ভূপেন বর্মন, জগন্নাথ রায় ডাকুয়া, বাবুল হোসেন, শাহিদার রহমান ও মেনুরা বিবি।

Advertisement

মেখলিগঞ্জের থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিজেপির দাবি উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। যদিও পুলিশ গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে। মেখলিগঞ্জ থানার এক কর্তা বলেন, ‘‘গুলি চালানো হয়নি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্টান গ্রেনেড ফাটানো হয়।’’ এই গ্রেনেড ফাটানো হলে শব্দ হয়, আলোর ঝলকও দেখা যায়। এলাকা জুড়ে তার পর থেকে পুলিশি টহলদারি চলছে।

এ দিনের ঘটনা নিয়ে বিজেপি মেখলিগঞ্জ উত্তর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ শীল বলেন, ‘‘উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মল পুরষ্কার পায়। কিন্তু এখনও শত শত বাড়িতে শৌচালয় নেই। অথচ শৌচালয় নির্মাণের জন্য হাজার হাজার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৯০০ টাকা করে নেন প্রধান। তাই সাধারণ মানুষ ওই টাকা ফেরত সহ আরও কয়েকটি দাবিতে তালা ঝোলায়। আমরা সেই আন্দোলনে যোগ দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। তৃণমূল অতর্কিত ভাবে আক্রমণ চালায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ টাকা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত আমরা খুলতে দেব না।’’

প্রধান কালিমন বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা লক্ষ্মী বর্মণ বলেন, ‘‘গ্রামের উন্নয়ন বন্ধ করতে পঞ্চায়েতের দফতরে তালা ঝোলায় বিজেপি। এতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েন। তাই আমাদের কর্মীরা তালা খুলতে যান। সে সময় আমাদের কর্মীদের উপর বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন