প্রতীকী ছবি।
শহরে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সাহায্য নেওয়ায় পুর কর্তৃপক্ষের খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ।
বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার এ দিন হিলকার্ট রোডে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ের পাশের বাণিজ্যিক ভবনে জল জমে থাকার পরিস্থিতি দেখে যান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘‘মেয়র অশোক ভট্টাচার্য তাঁদের দলীয় কর্যালয়ে প্রতিদিনই ঢুকছেন। অথচ তার পাশেই ওই ভবনের নীচের অংশে জল জমে মশার আঁতুরঘর হয়ে রয়েছে। মেয়র দেখছে না। ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’’
মেয়রের দাবি, ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তো রঞ্জনবাবুদেরই। ওয়ার্ড কমিটির তরফেই জল জমছে কি না দেখা উচিত। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নান্টু পালের স্ত্রী মঞ্জুশ্রীদেবী। নান্টুবাবু বলেন, ‘‘ওই ওয়ার্ডে অন্তত ৩টি ভবনে জল জমে থাকার বিষয়টি বোর্ড মিটিংয়েই তুলেছিলাম। মেয়র ঘুমিয়ে রয়েছেন। তাঁরা সব শুনতেও চাইছেন না। না পারলে তিনি ছেড়ে দিন। আমরা জল পরিষ্কার করে দেব।’’ তাঁর দাবি, ওয়ার্ড কমিটির তরফে বাড়িগুলোকে জানানো হয়েছিল। পুরসভার তরফে পাম্প দিয়ে জল বার করতে হবে। মেয়র বলেন, ‘‘বিরোধীদের ওই সব কথার জবাব দিতে চাই না। এ ভাবে অভিযোগ তুলে ডেঙ্গির বিষয়টিকে হালকা করে দেখা উচিত নয়।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওঁরা আমার মুখ দিয়ে মশার কার্টুন আঁকছেন। রাজ্যে ডেঙ্গির যা পরিস্থিতি, তাতে আমরাও তো মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখ দিয়ে আরও বড় কার্টুন আঁকতে পারি।’’
তবে সচেতনতার প্রচারও সে ভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কেননা, বারবার বলার পরেও মেয়র যে ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন, সেই ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চপ্পলপট্টি এলাকায় এখনও রাস্তার ধারে জমা করে রাখা টায়ারে জল জমে মশা জন্মাচ্ছে। রবিবার নজরদারি করতে বেরিয়ে নির্মীয়মাণ ভবনে, লিফটের ঘরে জল জমে থাকতে দেখেন মেয়র। এ দিন সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ের পাশে একটি বণিজ্যিক ভবনের নীচের তলার ফাঁকা ঘরে দীর্ঘ দিন ধরে জল জমে তা মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে বলে বিরোধীরা সরব হন।
ডেঙ্গি আক্রন্তের সংখ্যা রবিবার বেড়ে সাড়ে তিনশো ছাড়িয়েছে। হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলোতে জ্বর নিয়ে প্রচুর রোগী ভর্তি রয়েছেন। মেয়র বলেন, ‘‘প্রচারে নামতে বিজ্ঞানমঞ্চ-সহ বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে নিয়ে আলোচনা করা হবে। শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছে। আরও বেশি করে বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।’’
মেয়র জানান, যে সমস্ত দোকানের পুরনো টায়ারে জল জমে থাকছে, তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। নির্মাণকাজের জায়গাতেও এদিন জল জমে থাকায় তাদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানান মেয়র।