প্রতীকী ছবি।
এশিয়ান হাইওয়ের কাজের জন্য পাইপ লাইন সরাতে তিন দিন ধরে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে শিলিগুড়ি শহরে। ট্যাঙ্কে করে বিকল্প যে জল সরবরাহ করা হচ্ছে তা পেতে অনেক এলাকাতেই বাসিন্দাদের রীতিমতো নাকাল হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই জল পেতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। কারণ গাড়ি পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। জল না পেয়ে পুরসভার কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সমস্যার কথা বলছেন অনেকেই। সেই মতো কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা মেটাতে তৎপরও হচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আলাদা ভাবে বেশ কিছু ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
এ দিন ভোরে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জগবন্ধু আশ্রম লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্না মোহন্ত, বীণা সরকাররা জল নিতে জ্যারিকেন, বালতি নিয়ে সকাল সাতটা থেকে ভিড় করেন কাউন্সিলরের অফিসের সামনে। পরিস্থিতির খোঁজ নিতে সকাল ৮ টা নাগাদ সেখানে যান পর্যটনমন্ত্রী। গাড়ি আসেনি তখনও। কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা ফোন করে খোঁজ নিয়ে জানান, গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ৯ টারও পরে জলের গাড়ি এলে বাসিন্দারা জল পান। মন্ত্রী ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের পরিস্থিতি খোঁজ নিয়ে ফের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে যান জলের গাড়ি পৌঁছেছে কি না দেখতে।
বীণা সরকার বলেন, ‘‘বাড়িতে কুয়োও নেই যে, সেই জল দিয়ে সামাল দেব। সে জন্য পুরসভার জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। গাড়ি দেরিতে এলে একটু তো সমস্যা হচ্ছে।’’ ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গিরিধারী সাহা বলেন, ‘‘শীতের সময় জল একটু কমই লাগে। তাই বড় কোনও সমস্যা নেই। তবে এই ক’টা দিন বাড়িতে জল মিলছে না। গাড়ি এলে খোঁজ নিয়ে এসে জল ভরতে হচ্ছে।’’ বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, দুই এক জায়গায় জলের জার বিক্রি নিয়ে কালোবাজারির চেষ্টা হচ্ছে। সেগুলো দেখা দরকার।
পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ দিন জলের চাহিদা গত দু’ দিনের চেয়ে একটু বেশি ছিল। বিশেষ করে ৭, ২৮, ৪২, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জলের গাড়ির জন্য একাধিকবার ফোন এসেছে। সেই মতো ট্যাঙ্কও পাঠানো হয়েছে। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাইপ সরানোর কাজ শেষের পথে। শনিবারের মধ্যেই কাজ হয়ে যাবে। একটা দিন হাতে রাখা হয়েছে বলে পিএইচই’র বাস্তুকাররা জানিয়েছেন।’’