মালদহে ফের ফুলছে ফুলহার

ফের ফুলহার নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। ফলে পুজোর মুখে ফের চিন্তায় পড়েছেন মালদহের রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা।মঙ্গলবার রাত থেকেই ফুলহারের জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Advertisement

বাপি মজুমদার

চাঁচল শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২০
Share:

জল বাড়ছে ফুলহারে। হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

ফের ফুলহার নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। ফলে পুজোর মুখে ফের চিন্তায় পড়েছেন মালদহের রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত থেকেই ফুলহারের জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার নদীর জলস্তর বিপদসীমা থেকে মাত্র ৪৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও বাসিন্দাদের ঘরে জল না ঢুকলেও প্রায় পাঁচশো বিঘা কলাইয়ের খেত প্লাবিত হয়েছে। দেড় মাস আগেই বন্যায় ওই এলাকায় ঘরদোর ডুবে গিয়েছিল। জলে ডুবে নষ্ট হয়েছিল পাট, ভুট্টা, ধান, সব্জি খেত। পুজোর আগে কলাই চাষও ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় নতুন করে দুঃশ্চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের।

পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান জেলা সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টের নির্বাহী বাস্তুকার সুমিত বিশ্বাস। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নদীর জলস্তর ছিল ২৬.৭৮ সেন্টিমিটার। বুধবার সকালে তা ২৬.৯৭ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পর নদীর জল নামার পাশাপাশি স্থানীয় এলাকায় বৃষ্টির জন্য ফুলহারের জলস্তর বাড়ছে। ফলে বৃষ্টি কমলেই জলস্তর নেমে যাবে বলে সেচ দফতর জানিয়েছে।

Advertisement

রতুয়ার মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বঙ্কুটোলার বাসিন্দা গয়ানাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘আগের বন্যায় পাট, ভুট্টা সব নষ্ট হওয়ায় পথে বসেছি। ধার-দেনা করে এবার আট বিঘে জমিতে কলাই চাষ করেছিলাম। তাও ডুবে গিয়েছে।’’ হরিশ্চন্দ্রপুরের পার ভালুকার চাষি ববন মণ্ডলেরও কলাই খেত ডুবে গিয়েছে বলে জানান। এই বিষয়ে বিডিওদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান চাঁচলের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তথা ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক দেবব্রত বিশ্বাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন