বিজেপি অফিসে রেশনের চাল উদ্ধার, গ্রেফতার ২

তেলিপাড়ার চৌপথি লাগোয়া একটি ঘর থেকে এ দিন রেশনের কিছু চাল উদ্ধার হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই ঘরটি বিজেপির দলীয় অফিস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০৬:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি

দলীয় অফিসে বিজেপি রেশনের চাল মজুত করে রেখেছে বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বানারহাটে। স্থানীয় তেলিপাড়ার চৌপথি লাগোয়া একটি ঘর থেকে এ দিন রেশনের কিছু চাল উদ্ধার হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই ঘরটি বিজেপির দলীয় অফিস। তারাই ওই চাল বেআইনি ভাবে মজুত করে রেখেছে। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, রেশনের ওই চাল কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি পাঠাচ্ছে বলে বিজেপি কর্মীরা গ্রামে গ্রামে প্রচার চালাচ্ছে। বিজেপি রেশনের দোকানে চাল পাঠাচ্ছে বলেও প্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ওই অফিসটি তাঁদের দলীয় অফিস নয়। তৃণমূলই ওখানে রেশনের চাল রেখে বিজেপির নামে অপবাদ দিচ্ছে।
এ দিন চাল উদ্ধারের পরেই ঘটনাস্থলে যান খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের আধিকারিকেরা। ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সীমা চৌধুরী এবং বানারহাট থানার আইসি সমীর দেওসাও ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এলাকার রেশন ডিলার ও একজন কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা রেশন ডিলারকে দিয়ে জোর করিয়ে রেশনের চাল বিজেপি পার্টি অফিসে রাখতে বাধ্য করেছে। তৃণমূলের বানারহাট সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি নয়ন দত্ত বলেন, “বিজেপি এই দুর্যোগে সময়েও রাজনীতি করে যাচ্ছে। পার্টি অফিসে চাল মজুত করাতে আরও একবার তা প্রমাণিত হল।”
বিজেপির তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, যে ঘর থেকে চাল উদ্ধার হয়েছে সেটি আদৌ তাদের দলীয় অফিস নয়। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় ঘরটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। ওই ঘরে কী ভাবে রেশনের চাল পৌঁছল, তা তাদের জানা নেই বলে বিজেপির দাবি। তেলিপাড়া এলাকার বিজেপি নেতা মনোহর মণ্ডল বলেন, “যে ঘর থেকে চাল উদ্ধার হয়েছে সেটি আমাদের পার্টি অফিস নয়। গত ২৫ এপ্রিল ভাড়ায় নেওয়া ঘরটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বিজেপিকে এই ঘটনায় জড়িয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক ফয়দা নিতে চাইছে।”
বস্তার চাল পরীক্ষা করে প্রশাসন জেনেছে, রেশনে সরবরাহের জন্যই এই চাল এসেছিল। তাহলে বিজেপি অফিসে কেন রাখা হল? একটি সূত্রের দাবি, সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের কাছে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ঘর থেকে রেশনের ২১, ৭০০ কেজি চাল ও ৩৯০০ কেজি আটা মিলেছে। খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক সুপ্রকাশ মণ্ডল বলেন, “প্রশাসনিক নিয়ম হল রেশন সামগ্রী অন্য কোথাও মজুত করতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিসের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু এখানে অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও কিভাবে মজুত করা হল তা আমরা জানি না। পুরো ঘটনাটি জানানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন