ফাঁকা বাড়ি পেয়ে প্রথম দিন ধর্ষণ। পরের দিন আবার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বৌমাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। মালদহের কালিয়াচক থানার রাজনগর মডেল গ্রামে বুধবার এই ঘটনার পরে নির্যাতিতা ওই বধূ কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, সুকু শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অন্য চার জন এখনও ফেরার। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আর ওই বধূর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস আগে সুকু শেখের ছেলের বিয়ে হয়। তাঁর ছেলেও শ্রমিকের কাজ করেন। গত ৪ অগষ্ট সকালে ওই যুবক তাঁর মাকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে যান। বাড়িতে ছিলেন বৌমা ও শ্বশুর। ওইদিন রাত ১২টা নাগাদ ওই বধূ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় জোর করে ঘরে ঢুকে সুকু শেখ তাঁকে ধর্ষণ করে। এমনকী, ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণে মারাও হুমকি দেওয়া হয়। ৫ অগষ্ট ফের ওই বধূকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত সুকু শেখ। ওই বধূ চিৎকার করলে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামেরই একটি ফাঁকা মাঠে। সেখানে সুকু ও তাঁর চার সঙ্গী তাঁকে গণধর্ষণ করে। অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই বধূ। হুঁশ ফিরলে ওই বধূ তাঁর বাবার বাড়ি চলে যান। সেখানে পরিবারের লোকেদের সমস্ত ঘটনা জানান। প্রথমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন অভিযুক্ত শ্বশুর ও তাঁর সঙ্গীরা।
গত বুধবার কালিয়াচক থানায় দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতা ওই বধূ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে সুকু শেখকে। ওই বধূ বলেন, ‘‘শ্বশুর যে এরকম করতে পারেন, তা কখনও ভাবিনি। আমি চাই সকলেরই কঠোর শাস্তি হোক।’’ একই কথা বলেছেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরাও।