কটূক্তির প্রতিবাদ, কোপ বধূকে

কটূক্তির প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূকে দা দিয়ে কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ শনিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি শহরের ভাটিয়া বিল্ডিং এলাকায় এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত বাবু পালকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৫
Share:

অভিযুক্ত: বাবু পালকে দড়ি দিয়েও বেঁধে রাখেন বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

কটূক্তির প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূকে দা দিয়ে কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ শনিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি শহরের ভাটিয়া বিল্ডিং এলাকায় এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত বাবু পালকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়৷ পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জখম গৃহবধূকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধৃত বাবু প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকার মহিলাদের কটূক্তি ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে৷ কারও কারও দিকে তেড়েও যেত। তার আচরণের জন্যই তাকে কেউ সেভাবে ঘাঁটাত না।

এ দিন ঘটনা দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ওই বধূকে দেখে সে কটূক্তি করতে শুরু করে৷ এর প্রতিবাদ করতেই তাঁকে লক্ষ করে প্রথমে ইট ছোড়ে বাবু৷ তারপর মাথায় দা দিয়ে কোপ মারেন৷

Advertisement

আক্রান্ত বধূর অভিযোগ, ঘটনার সময় বাবু নিজের বাড়িতেই ছিল৷ এবং সেখান থেকে আমাকে দেখতে পেয়েই কটূক্তি করে। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে৷ ওই বধূর কথায়, ‘‘আমি ওকে বলি, সাহস থাকলে বাড়ির বাইরে এসে এ সব কর৷ এরপর আমাকে প্রথমে ইট ছোড়ে৷ মুহূর্তের মধ্যে দৌড়ে এসে দা দিয়ে কোপ বসিয়ে দেয়৷’’ এরপরই বাবুকে ঘিরে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ পালিয়ে যাওয়ার আগেই বাসিন্দারা তাকে ধরে ফেলেন৷ দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে চড়-থাপ্পড়ও মারেন কেউ কেউ৷ তবে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়ে তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়৷ বুলুদেবীর আত্মীয় কৃষ্ণা সরকারের অভিযোগ, ‘‘প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় থাকা বাবু মহিলাদের দেখলেই এ সব করে৷ সে জন্য বাবু থাকলে মহিলারা বাড়ি থেকে বের হতে পর্যন্ত ভয় পান৷’’ এলাকার বাসিন্দা কালু ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা বাবুর কড়া শাস্তি চাই৷ যাতে ভবিষ্যতে এমনটা ও আর করতে না পারে৷’’

বাবুর পাল্টা অভিযোগ, তার মায়ের থেকে ওই বধূ টাকা ধার করেছিলেন৷ এ দিন সেই টাকা চাইতে যাওয়ায় ওই বধূ ও তাঁর কিছু আত্মীয়-স্বজন তাঁকে মারধর করে৷ তাই ওই বধূও চোট পান৷ যদিও ওই বধূ জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন