Cooch Behar Municipality

রাসমেলায় ধুন্ধুমার! ‘পুলিশি অত্যাচারের’ প্রতিবাদে পরিষেবা বন্ধ করল কোচবিহার পুরসভা

অনির্দিষ্টকালের জন্য পুর পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন কোচবিহার পুরসভার কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষ এবং পুরকর্মীদের উপর ‘অত্যাচার’ করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৩
Share:

পরিষেবা বন্ধ করে দিলেন কোচবিহার পুরসভার কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।

কোচবিহারে রাসমেলা শেষে দোকান উচ্ছেদের নামে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ করলেন পুরসভার কর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে পুর পরিষেবা বন্ধ রাখলেন পুরকর্মীরা। সোমবার এ নিয়ে ব্যাপক হইচই এলাকায়। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষও পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করেছেন। তবে জনতার স্বার্থে তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করবেন বলে জানান।

Advertisement

কোচবিহার পুরসভার কর্মীরা জানাচ্ছেন, গত ১৬ ডিসেম্বর কোচবিহার পুরসভা এলাকায় রাসমেলা শেষ হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর মেলার মাঠে তৈরি করা অস্থায়ী দোকানপত্র থেকে মালপত্র গোটাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে তখনও ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল। মালপত্র গোছাতে গোছাতেই ব্যবসায়ীরা বিক্রিবাটাও করছিলেন। অভিযোগ, সেখানে আচমকাই লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পরিস্থিতি দেখে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু তাঁদেরও পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ।

এখন পুরকর্মীরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছরই মেলা শেষে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট ঠিক সময়েই গুটিয়ে নেন। তবে ভাঙা মেলায় তো অনেক ক্রেতাই ভিড় করেন। সেখানে পুলিশ প্রশাসন এ বার যে কাজ করেছে, তা নিন্দনীয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে কোচবিহার পুরসভার কর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোচবিহার পৌরসভার কর্মী অলক দাস বলেন, ‘‘যত ক্ষণ পর্যন্ত দোষী পুলিশকর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না হয়, তত দিন পর্যন্ত কোচবিহার পুরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ এবং পানীয় জল ছাড়া সমস্ত রকম পুর পরিষেবা বন্ধ থাকবে।’’ এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement

অন্য দিকে, কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশ যে ভাবে ব্যবসায়ী এবং পুরকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এখন কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুরকর্মীরা। তাঁরাই পুর পরিষেবা দিয়ে থাকেন। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাঁরাই নিয়েছেন। তবে কোচবিহার পুরসভার নাগরিকদের স্বার্থের কথা ভেবে আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন