সম্পর্কের জেরেই কি অ্যাসিডে আক্রান্ত

শুক্রবার রাতে ধূপগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এক যুবক অ্যাসিড হামলার শিকার হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:৩০
Share:

—প্রতীকী ছবি

এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গেই সম্পর্কের জেরেই ধূপগুড়িতে অ্যাসিড হানার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার রাতে ধূপগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এক যুবক অ্যাসিড হামলার শিকার হন। পুলিশের অনুমান, গাদং পঞ্চায়েতের ওই বাসিন্দা ওই যুবক মহিলাটিকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবককে অ্যাসিড ছোড়েন ওই বধূ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তিনি। আক্রান্ত যুবক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি। তাঁর মুখের সামান্য অংশ পুড়ে গিয়েছে। একটি চোখেও অসুবিধে বোধ করছেন তিনি। তবে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন।

ধূপগুড়ি শহরে এই প্রথম অ্যাসিড হামলার মতো ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করছেন একা ওই মহিলার পক্ষে এত বড় কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়। পিছন থেকে তাঁকে কেউ মদত দিয়ে থাকতে পারে। শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলের কাছে অ্যাসিড ভর্তি একটি বোতলও উদ্ধার করে পুলিশ৷ ধূপগুড়ি থানার আইসি সুবীর কর্মকার বলেন, ‘‘আক্রান্তের পরিবার ওই মহিলার নামে একটি এফআইআর দায়ের করেছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকেও খোঁজা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাসিড সম্পর্কে জানতে সেটির নমুনা বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেটা জানার পর কীভাবে ওই মহিলা অ্যাসিড সংগ্রহ করেছিলেন সেটা জানা যাবে। এই বিষয়ে খোঁজ চলছে।

Advertisement

ওই যুবকের পরিচিতদের দাবি, একাধিক সম্পর্ক নিয়ে মাঝেমধ্যেই গোলমালে জড়াতো ওই যুবক। ১৫ অগস্ট এ নিয়ে তাঁর পাড়ায় ঝামেলাও হয়। কয়েকজন যুবক রাজেশকে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও শনিবার নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে ওই যুবককে নির্দোষ দাবি করেছেন তাঁর মা। তিনি বলেন, ‘‘ওই মহিলা আমার ছেলের থেকে বয়সে বড়। তার একটি দশ বছরের ছেলে রয়েছে। তারপরও আমার ছেলেকে বিয়ে করার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আমার ছেলে তাতে রাজি না হওয়ায় ও এই জঘন্য কাণ্ড করল। আমি ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই।’’ আক্রান্তের বাবা বলেন, ‘‘পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে ওই বড়। সংসার চালানোর জন্য ও শহরে গিয়ে দোকানে কাজ করে। কী থেকে যে কী হল, বুঝতে পারছি না।’’

অভিযুক্ত মহিলার স্বামী কেরলে কাজ করেন। এ দিন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তালা ঝুলছে। প্রতিবেশীরা জানান, ইদানীং বেশিরভাগ সময় ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় বাপের বাড়িতেই থাকতেন ওই মহিলা। বুধবার তিনি এসেছিলেন। শুক্রবার বিকেলে ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান। ওই বধূর জা-এর দাবি, বধূর কাছে ওই যুবকের যাতায়াত ছিল। তিনি দাবি করেন, কিছুদিন আগে আক্রান্তের মায়ের সঙ্গে অভিযুক্ত মহিলার ঝগড়া হয়। তখনই দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের কথা তাঁরা জানতে পারেন বলে দাবি তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন